চীনের স্মার্টফোনগুলোর কমদামে ভালোমানের কনফিগারেশনের কাছে অনেকটাই বাজার হারিয়েছে স্যামসাং, অ্যাপলের মতো বাজারের শীর্ষে থাকা কোম্পানিগুলো। আর তাই নিজেদের অবস্থান পোক্ত করতে বছরখানেক ধরে বাজেট ও মিডরেঞ্জের একাধিক স্মার্টফোন বাজারে আনছে স্যামসাং, যা চীনের কোম্পানিগুলোকে টেক্কা দেয়ার মতোই। তেমনই একটা মিডরেঞ্জের ফোন স্যামসাং গ্যালাক্সি এ৫০। চলুন দেখে নিই কী আছে কী নেই ফোনটিতে।
ডিজাইন
ডিজাইনের দিক থেকে অসাধারণ গ্যালাক্সি এ সিরিজের টপ মডেলের এই স্মার্টফোন। এর প্রধান আকর্ষণ হিসেবে আছে ৬.৪ ইঞ্চি সুপার অ্যামোলেড ডিসপ্লের সাথে ইনফিনিটি ইউ ডিসপ্লে। যার চারপাশে রয়েছে পাতলা বেজেল।
ফোনের পাশে রয়েছে ভলিউম ও পাওয়ার বাটন। অন্যদিকে রয়েছে সিম ও মেমরি কার্ড স্লট। অ্যামোলেড ডিসপ্লের পেঅনটিতে রয়েছে অলওয়েজ অন ফিচার, যার মাধ্যমে সহজে নোটিফিকেশন দেখা যায়। নিচের দিকে রয়েছে ৩.৫ মিমি হেডফোন জ্যাক, ইউএসবি টাইপ-সি পোর্ট এবং স্পিকার গ্রিল। তিনটি ভিন্ন রঙে পাওয়া যাচ্ছে ফোনটি।
স্পেসিফিকেশন
ফোনটিতে ৪ গিগাবাইট ও ৬ গিগাবাইট র্যাম সংস্করণে পাওয়া যাচ্ছে। ৪ গিগাবাইট র্যামের সংস্করণে রয়েছে ৬৪ গিগাবাইট ইন্টারন্যাল মেমরি। আর ৬ গিগাবাইট র্যামের ক্ষেত্রে ৬৪ গিগাবাইট ও ১২৮ গিগাবাইট ইন্টারন্যাল মেমরির সংস্করণ রয়েছে।
ফোনটিতে রয়েছে ৬.৪ ইঞ্চির ফুল এইচডি প্লাস সুপার অ্যামোলেড ডিসপ্লে। ডিসপ্লেস দিক থেকে অনেকটাই এগিয়ে আছে ফোনটি। ভিতরে রয়েছে এক্সিনোস ৯৬১০ চিপসেট।
ফোনটির ডিসপ্লের নিচেই রয়েছে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর। তবে অন্য ফোনের তুলনায় কিছুটা ধীরগতিতে কাজ করে এই সেন্সর। যদিও নতুন আপডেটে বিষয়টিকে অনেকটা সমাধানের চেষ্টা করেছে স্যামসাং। এছাড়া ফোনের ফেসলক সুবিধাটি দ্রুতই কাজ করে।
অপারেটিং সিস্টেম
গ্যালাক্সি এ৫০ ফোনটিতে অ্যান্ড্রয়েড পাই অপারেটিং সিস্টেম রয়েছে, সাথে রয়েছে স্যামসাংয়ের নিজস্ব ওয়ান ইউআই স্ক্রিণ। ফোনটিতে বর্তমানে জনপ্রিয় ডার্ক মোড ব্যবহারের সুযোগও থাকছে।
ক্যামেরা
ফোনটির পিছনে অসাধারণ ছবি তোলার সুযোগ দিতে রয়েছে তিনটি ক্যামেরা। ২৫ মেগাপিক্সেলের প্রাইমারি সেন্সর, ৮ মেগাপিক্সেল ওয়াইড অ্যাঙ্গেল সেন্সর ও ৫ মেগাপিক্সেলের ডেপথ সেন্সর রয়েছে। আর সামনে সেলফি তোলার জন্য রয়েছে ২৫ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহৃত ক্যামেরায় রয়েছে একাধিক ফিচার। ওয়াইড অ্যাঙ্গেল, লাইভ ফোকাস, নাইট, প্রোসহ অন্য ফিচারগুলো অনেকটা হলেও ডিএসএলআর ক্যামেরার আক্ষেপ কিছুটা কমাবে। এছাড়া ছবি সম্পাদনার টুলসও রয়েছে। ফলে আলাদা করে অ্যাপস ইনস্টলের প্রয়োজন নেই।
ব্যাটারি
ফোনটি ব্যাটারি ব্যাকআপের ক্ষেত্রেও অনেকটা এগিয়ে। সাধারণভাবে ওয়েব ব্রাউজিং, সোশ্যাল মিডিয়া, চ্যাটিং, মেইল, ছবি ও ভিডিও তুললেও অনায়াসেই দেড় দিন পর্যন্ত ব্যবহার করা যাবে ফোনটি। এছাড়া অধিকক্ষণ ব্যবহারের জন্য রয়েছে একাধিক ফিচার নিয়ে পাওয়ার মোড। ফোনটিতে রয়েছে ১৫ ওয়াটের ফাস্ট চার্জিং সুবিধা।
ডিবিটেক/বিএমটি