ভ্যাটে দ্বৈতকর আরোপের চ্যালেঞ্জ করে সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই উচ্চ আদালতে রিট করতে যাচ্ছে আইএসডিপএবি। রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যানের আশ্বাস এবং এনবিআরকে লিগ্যাল নোটিশ দেয়ার ১৪ দিন পরেও সাড়া না পেয়ে ইতোমধ্যেই আইনজীবিদের সঙ্গে আলাপ রিটের বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছিন সংগঠনটির মহাসচিব ইমদাদুল হক।
ভ্যাট আরোপে শৃঙ্খলা চেয়ে সাত দিনের সময় দিয়ে এনবিআরকে লিগ্যাল নোটিশ দিলেও এ বিষয়ে এখনো কোনো সমাধান না আসায় এখন তারা উচ্চ আদালত খোলার অপেক্ষা করছেন। আইনজীবিদের সঙ্গে আলোচনা করে যেহেতু ভার্চুয়াল কোর্টে এই রিট করা যায় না তাই কোর্ট খোলা পর্যন্ত অপেক্ষা কেরছেন তারা।
সূত্রমতে, আগামী সপ্তাহে কোর্ট খুললেই এই রিট করা হবে।
মূলত গত অর্থ বছরে ইন্টারনেটে ৫ শতাংশ ভ্যাট এবং ভ্যালু চেইনের অন্যান্য (আইটিসি, আইআইজি, এনটিটিএন) খাতে ১৫ শতাংশ ভ্যাট নির্ধারিত হওয়ায় ইন্টারনেট সেবা খাতে জটিলতা সৃষ্টি হয়। এই জটিলতা নিরসনে তৎকালীন অর্থমন্ত্রীর নেতৃত্বে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী, এনবিআর চেয়ারম্যান এবং বিটিআরসি চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে একটি সভা হয়। সভার আলোচনায় ইন্টারনেটের প্রতিটি স্তরে (আইটিসি, আইআইজি, এনটিটিএন) ৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের সিদ্ধান্ত হয়। পরে সে অনুযায়ী ইন্টারনেটের প্রতিটি স্তরে ৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে এনবিআর। কিন্তু এর কয়েক মাসের ব্যবধানে চলতি অর্থবছরের বাজেটে পুনরায় ইন্টারনেট সেবায় শতাংশ ভ্যাট এবং অন্যান্য স্তরে (আইটিসি, আইআইজি, এনটিটিএন) ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করা হয়।
‘ফলে সাবেক অর্থমন্ত্রীর নের্তত্বে সমাধান করা বিষয়টিতে আবারও আগের জটিলতা সৃষ্টি হয়। এর ফলে প্রান্তিক পর্যায়ে ইন্টারনেটের মূল্য ৩০ শতাংশ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যায়’ জানিয়ে আইএসপিএবি মহাসচিব বলেন, ‘এটা ভ্যাট আরোপকে বৈষম্যমূলক এবং মূসক আইনের পরিপন্থি। এক দেশে তো দুই আইন হতে পারে না। এটা এই খাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। এ ক্ষেত্রে শৃঙ্খলার জন্য এখন আমরা বাধ্য হয়েই উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছি।’