তথ্যপ্রযুক্তি খাত খোলা চোখে যত ছোট মনে হয়; কিন্তু আদতে তা ততটাই পরিব্যাপ্ত। তাই এই খাতে যত ছোট-ছোট সংগঠন থাকবে ততটাই মঙ্গল। কিন্তু বিষয়টি অনেকেই বুঝতে না পাড়ায় জন্ম থেকেই ই-ক্যাব নানা চ্যালেঞ্জের মধ্যে রয়েছে। তবে এই জন্মের পেছনে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছেন তৎকালীন মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
বৃহস্পতিবার (৫ এপ্রিল) রাতে ই-ক্যাব ঈদ ভার্চুয়াল আড্ডায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমনটাই জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
তিনি বলেন, আজ ই-ক্যাব আছে বলেই অনেক কাজ সহজ হয়। তাই একে ছোট করে দেখার বিষয় নয়। তাই একটি শিল্পখাত প্রতিষ্ঠায় একটি সংগঠনের ভূমিকা ও গুরুত্ব যেন কেউ ভুলে না যান। কেননা, বাংলাদেশ নয়; বিশ্বে এমন কোনো ব্যবসা থাকবে না যা ডিজিটালি হবে না।
‘গরুর হাট যে অনলাইনে হতে পারে এটা আমার ধারণা ছিল না’ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারি পরোক্ষভাবে আমাদের ইতিবাচক পথে এগিয়ে দিয়েছে। এই মার্চে দেশে ব্যান্ডউইথের ব্যবহার ৩,৪৪০ জিবিপিএস-এ পৌঁছেছে। ঈদে ৪০০০ হাজার কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে মোবাইলে।
মোস্তাফ জব্বার আরো বলেন, সুযোগ থাকলে অপরাধী অপরাধ করবেই। দুর্বলতার সুযোগ নেবে। এটা ব্যবসায়ীদের মতো গ্রাহকের ক্ষেত্রেও সমান প্রযোজ্য। সোশ্যাল মিডিয়া আজ ভয়ঙ্কর পর্যায়ে পৌঁছেছে। সামনে ডিজিটাল প্রতারণা আরো বাড়বে। কিন্তু সতর্কতা অবলম্বন করলে তা হবে না। আর ডিজিটাল প্রযুক্তির কল্যাণে এখন অপরাধীকে সহজেই সনাক্ত করা যায়। পুলিশ ক্লু-লেস অপরাধের অপরাধীও ধরতে পারে। তাই প্রচলিত দক্ষতার বাইরেও এখন ডিজিটাল দক্ষতা অর্জন করতে হবে। ই-কমার্স ব্যবসায়ীদের অবশ্যই ডিজিটাল অ্যানালাইসিস জ্ঞান থাকতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, ই-ক্যাব জন্ম থেকে যথাযথ নেতৃত্ব পেয়েছে বলেই আজকে দেশে ব্যবসার ডিজিটাল রূপান্তর সহজ হয়েছে। তবে এবার স্থানীয় শক্তি বৃদ্ধিতে আমি ই-ক্যাবকে শাখা কমিটি গঠনের আহ্বান জানাবো। এজন্য প্রয়োজনে গঠনতন্ত্র সংশোধন করতে হবে। এছাড়াও ডিজিটাল পল্লী গঠনে যে কোনো ধরনের সহযোগিতার জন্য আমি প্রস্তুত। আমি চাই লজিস্টিক সেবা যেনো গ্রামের ঘরে ঘরে পৌঁছে যায়।
অংশীজনদের নিয়েই ই-ক্যাব কার্যনির্বাহী কমিটি আরো এগিয়ে যাবে বলে প্রত্যাশা করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী। তিনি বলেন, ই-ক্যাবকে সামনে নিয়ে আসতে হলে অবশ্যই সরকারকে পাশে রাখতে হবে। একা একা নয় সবার মতামত নিয়েই এগিয়ে যেতে হবে।
ই-ক্যাব সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুল ওয়াহেদ তমালের সঞ্চালনায় ই-ক্যাব উপদেষ্টা নাহিম রাজ্জাক, ই-ক্যাব অর্থ সম্পাদক মোহাম্মাদ আব্দুল হক অনু এবং পরিচালক নাসিমা আক্তার নিশা ছাড়াও সাধারণ সদস্যরা আড্ডায় বক্তব্য রাখেন।
ই-ক্যাব সভাপতি শমী কায়সারের সভাপতিত্বে আড্ডায় ই-ক্যাব এর এগিয়ে যাওয়া নিয়ে একটি চক্র বিতর্ক সৃষ্টি করলেও তা সম্মিলিত ভাবেই মোকাবেলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন সাধারণ সদস্যরা।