উন্নত প্রযুক্তি সেবাদাতা হিসেবে উদ্ভাবনী জাতি গঠনের পথকে প্রশস্ত করার অভিপ্রায়ে মঙ্গলবার থেকে শুরু হলো বেসিস ন্যাশনাল আইসিটি অ্যাওয়ার্ডসের নিবন্ধন। আগামী ২ অক্টোবর পর্যন্ত বেসিস ন্যাশনাল আইসিটি অ্যাওয়ার্ডস এর অফিশিয়াল ওয়েবসাইট থেকে নাম নিবন্ধনের মাধ্যমে অংশ নিতে পারবেন আগ্রহীরা। নাম নিবন্ধনে বেসিস সদস্য নয় তারাও অংশগ্রহণ করতে পারবেন। যথারীতি ৩৬ ক্যাটাগরিতে থাকবে ১০৮টি পুরস্কার। পক্ষপাতিত্বমুক্ত করতে বিচারিক কাজ হবে দেশের তৈরি জাজিং সফটওয়্যারে।
দুপুরে নিজেদের সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পঞ্চম এই আসরের উদ্বোধন করেন দেশের সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তি সেবা খাতের জাতীয় বাণিজ্য সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) সভাপতি রাসেল টি আহমেদ।
তিনি বলেন, যখন থেকে বেসিস এশিয়া প্যাসিফিক আইসিটি অ্যালায়েন্স-এপিকটা’র সদস্য হয়ে ২০১৬ সালে তাইওয়েনে অংশ নিয়ে একটি মেরিট অ্যাওয়ার্ড পেয়েছিলাম। সেই থেকে আমাদের ক্ষুধা শুরু হয়। তখন সদস্য ১৮টি দেশের টেক পারফরমেন্স আমাদের নতুন করে ভাবতে শেখায়। তবে এই নেটওয়ার্কটার সুবিধা নিয়ে বাইরের দেশে ব্যবসায় সম্প্রসারণে আমরা খুব একটা সুবিধা করতে পারিনি। এখনো নিজেদের কোনো পণ্য সিঙ্গাপুর বা হংকং এ নিতে পারিনি। তাই এবারে অংশগ্রহণকারীদের পণ্য নিয়ে আমরা দেশের বাইরে নিয়ে যেতে চাই। আর পুরস্কৃত সেরা প্রকল্পগুলো বরাবরের মতো এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় তথ্যপ্রযুক্তি খাতের অস্কার হিসেবে খ্যাত অ্যাপিকটা অ্যাওয়ার্ডস-এর আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে। তারা বরাবরের মতো দেশের জন্য গৌরব বয়ে আনবে।
অনুষ্ঠানে বেসিস ন্যাশনাল আইসিটি অ্যাওয়ার্ডস ২০২২-এর আহ্বায়ক ও বেসিস অ্যাডভাইজরি স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি এম রাশিদুল হাসান জানান, ২০১৭ তে শুরুর সময় এই সম্মাননার জন্য জমা পড়ে ৩৬৫। এর মধ্যে পুরস্তৃক হয় ৪৩টি প্রতিষ্ঠান। ১৮ সালে ৬৫৩টির মধ্যে সম্মাননা পায় ৭৭টি উদ্যোগ; ২০১৯ সালে জমা পড়া ১১৭৫টি আবেদনের মধ্যে ৬৯ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান পায় এই সম্মাননা। সর্বশেষ ভার্চুয়ালি ; ২০-২১ সালে জমা পড়া ১২৩৯টি আবেদনের ৫৯টি উদ্যোগ পুরস্কৃত হয়। সম্মাননা প্রাপ্তির মধ্যে চালডাল, যান্ত্রিক, টেনমিনিট স্কুল, প্রিজম ইআরপি মতো বেশি কিছু কোম্পানি সম্মানের সঙ্গে এগিয়ে চলছে।
বেসিস অ্যাডভাইজরি স্ট্যান্ডিং কমিটির সহ-সভাপতি শাহ ইমরাউল কায়ীশ, বেসিস অ্যাডভাইজরি স্ট্যান্ডিং কমিটির সহ-সভাপতি উত্তম কুমার পাল, বেসিস পরিচালক একেএম আহমেদুল ইসলাম বাবু, তানভীর হোসেন খান প্রমুখ।
বেসিস ন্যাশনাল আইসিটি অ্যাওয়ার্ডস ২০২২-এর আহ্বায়ক ও বেসিস অ্যাডভাইজরি স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি এম রাশিদুল হাসান বলেন, অ্যাপিকটা অ্যাওয়ার্ডসকে সামনে রেখেই বেসিস ন্যাশনাল আইসিটি অ্যাওয়ার্ডসের যাত্রা শুরু হয়। বিগত চারটি বেসিস ন্যাশনাল আইসিটি অ্যাওয়ার্ডসের তুলনায় এবছর আরও বড় পরিসরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আগের আয়োজনগুলোতে আমরা দেশে এবং অ্যাপিকটা অ্যাওয়ার্ডসে প্রত্যাশাতীত সাড়া ও সাফল্য পেয়েছে। আশাকরি এবারের পুরস্কৃত পণ্য ও সেবাগুলো অ্যাপিকটা অ্যাওয়ার্ডসেও আগের বছরগুলোর তুলনায় বেশি পুরস্কৃত হবে এবং বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি সমুজ্জ্বল করবে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বেসিস নির্বাহী পরিষদ ও বেসিস প্রেসিডেন্টস অ্যাডভাইজরি স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, এবারে প্রধান বিচারকের দায়িত্ব পালন করবেন বেসিস প্রেসিডেন্টস অ্যাডভাইজরি কমিটির সদস্য আবদুল্লাহ এইচ কাফি ও সহ-আহ্বায়ক হিসেবে থাকছেন বেসিস অ্যাডভাইজরি স্থায়ী কমিটির সদস্য লিয়াকত হোসেন।