বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় এক শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় সোমবার (১৪ অক্টোবর) রাতে ডিবি পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন দেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)-এর সাবেক সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর।
জানা গেছে, রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় ওবায়েদুল হক নামের এক ব্যক্তি মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় সৈয়দ আলমাস কবীর ছাড়াও সাবেক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, জাহাঙ্গীর কবির নানকসহ ৮২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনরে নেতাকর্মী অজ্ঞাতনামা ১০০-১৫০ আসামীকে আসামী করা হয়।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর মোহাম্মদপুর থানায় দায়ের করা মামলাটির ৮ নম্বর আসামী সৈয়দ আলমাস কবীর। মামলায় আলমাস কবীরকে সাবেক তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সহযোগী ও অর্থযোগানদাতা বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
এজাহারে ধারা ৩০২/১০৯/১১৪/৩৪ পেনাল কোডে মামলার কারণ সম্পর্কে বলা হয়েছে, প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে হুকুমপ্রাপ্ত হয়ে পরস্পর যোগসাজশে আগ্নেয়াস্ত্র দ্বারা গুলি বর্ষণ করে খুন করার অপরাধ। মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী ইফতেখার হাসান মামলাটি গ্রহণ করেন।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, আসামী সৈয়দ আলমাস কবীর ছাত্র আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করতে নির্দেশনা দেন। ঘটনার স্পট মোহাম্মদপুর থানাধীন বেড়িবাঁধ তিন রাস্তার মোড়ের সামনে রাস্তার উপর যা রায়ের বাজার পুলিশ ফাঁড়ির আওতাধীন এলাকা বলে উল্লেখ করা হয়েছে।