বেসিস সংস্কারের দাবিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে একটি সংবাদ সম্মেলন করছে বেসিস সংস্কার পরিষদ। সেখানে এই পরিষদের সমন্বয়ক জুলহাস মিয়াজি, মো. মিজানুর রহমান, এইচআরএসওএফটিবিডি এর সিইও এ এইচ এম রোকনুজ্জামান রনি, মনিরুজ্জামান, মুস্তাকিন বিল্লাহ, মো. জসিম উদ্দিন এবং সলিউশনের মুখপাত্র ফৌজিয়া নিগার সুলতানা উপস্থিত ছিলেন।
তারা সংবাদ সম্মেলনে বেসিস’র জন্য তিন দফা সংস্কার প্রস্তাব ও ৮টি দাবি পেশ করেছেন। দাবির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো বর্তমান নির্বাহী কমিটির সকল সদস্যের পদত্যাগ, ভুয়া বা প্রক্সি সদস্য বাতিলকরণ ও ক্ষতিগ্রস্তদের সদস্যপদ নবায়ন, প্রেসিডেন্ট ফোরাম নামের স্বেচ্ছাচারী প্লাটফর্মের অবসান।
এছাড়াও কেন সংস্কার প্রয়োজন তার ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, বিগত ১৬ বছর ধরে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়, প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক ও মন্ত্রী আনিসুল হকে গং এর মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের নামে লক্ষ কোটি টাকা দুর্নীতি ও অপচয়ের সাথে জড়িত বেসিস বোর্ডের নেতা ও তাদের প্রক্সি প্রতিষ্ঠান সরাসরি জড়িত।
সংবাদ সম্মেলনে বেসিস সংস্কার পরিষদের সদস্য ফৌজিয়া নিগার সুলতানা বলেন, আওয়ামী লীগের দোসররা এখনো বেসিসে বীরদর্পে অপকর্ম করেই যাচ্ছে। বেসিসের বর্তমান এক্সিকিউটিভ কমিটির (ইসি) অনেক সদস্যের দুর্নীতি ও অপকর্মের সংবাদ মূলধারার সংবাদমাধ্যমগুলোতে অনেকবার প্রকাশিত হলেও বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের চোখ ফাঁকি দিয়ে তারা নিজেদের স্বার্থ হাসিলে সক্রিয় রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিগত বছরগুলোতে বিতর্কিত বেসিস নির্বাচনে সব ক’টি প্যানেলই সজীব ওয়াজেদ জয়, সালমান এফ রহমান ও জুনাইদ আহমেদ পলকের ইচ্ছানুসারে স্বেচ্ছাচারী পন্থায় চাপানো ছিল। এমনকি অনৈতিকভাবে নির্বাচনে জিততে তারা নির্বাচনের আগে প্রক্সি ভোটার তৈরি করার পাশাপাশি বৈধ সদস্যদের ভোটার হতে বাধা দিয়েছে নজিরবিহীন উপায়ে। ফলে ২৬০০ সদস্যের বেসিসে সর্বোচ্চ ৯০০ জন ভোটার হতে পেরেছিল। ভিন্নমতের সদস্যদের ভোট থেকে বিরত রাখতেই ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং করা হয়।
এছাড়া অভিযোগ আছে, এসব নির্বাচনে প্রায় সব প্যানেলই সরকারের মদদপুষ্ট ছিল, যারা বিভিন্ন পার্টি ও ইভেন্টের জন্য প্রচুর অর্থ ব্যয় করে, যা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। দুর্নীতি আড়াল করতে নির্বাচনের আগে অবৈধ পন্থায় অডিটর বদল করা হয়েছে। এমনকি বেসিসের অফিসিয়াল ফেইসবুক পেজ থেকে অভিযোগ মুছে দেওয়া, ক্লোজড গ্রুপে পোস্ট এপ্রুভাল সিস্টেম চালু করা এবং সমালোচনামুলক পোস্ট এপ্রুভ না করা/দেরি করার অভিযোগ আছে। নির্বাহী কমিটির বাইরে বেসিস স্টাফদেরকে দিয়ে এসব অপকর্ম করানোর অভিযোগও আছে, যা সদস্যদের জন্য অসম্মানজনক।