প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে প্রথম স্মার্ট বাংলাদেশ টাস্কফোর্স বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দেশের প্রথম স্মার্ট নগরী হবে রাজশাহী ও কক্সবাজার। আর গ্রিন, ক্লিন ও স্মার্ট নগরী গড়ার এই কাজে পরামর্শক হিসেবে থাকছে এটুআই।
এরই অংশ হিসেবে মঙ্গলবার আইসিটি বিভাগের সম্মেলন কক্ষে এটুআই ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মধ্যে একটি চুক্তি সই হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী, ৩টি গাইড লাইন তৈরি ও ৭টি প্রশ্ন খোঁজার মাধ্যমে কর্মপরিকল্পনা ও বাজেট প্রণয়ন করবে এটুআই। ডিজিটাল সেবাগুলো’র স্মার্ট ব্যবস্থাপনার সফট সল্যুশনও তৈরি করবে সংস্থাটি।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ও নবনির্বাচিত রাসিক মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামানের উপস্থিতিতে চুক্তিতে সই করেন এটুআই প্রকল্পের যুগ্ম-পরিচালক মোঃ সাইফুল ইসলাম এবং রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সিইও ড. এ.বি.এম. শরীফ উদ্দিন সমঝোতা চুক্তিতে সই করেন।
বক্তব্যে স্মার্ট সিটি গড়ে তুলতে ‘ফেস ডিটেক্টর ক্যামেরা’, হোল্ডিং ট্যাক্স আদায়ে ‘ড্রোন দিয়ে জরিপ’ পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেন রাসিক মেয়র।
চুক্তি অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ টাস্কফোর্স বৈঠকে গ্রামকেও স্মার্ট ভিলেজে পরিণত করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এরই অংশ হিসেবে প্রথম ধাপে রাজশাহী ও কক্সবাজার নগরীকে পাইলট প্রকল্পের অধীনে স্মার্ট সিটি করা হবে। এক্ষেত্রে তিন ধাপে ২০২৪, ২০২৫ সালে সেবার স্মার্ট রূাপান্তরের মধ্যেমে ২০২৮ সালের মধ্যে রাজশাহী হবে পেপারলেস ও কন্ট্যাক্টলেস স্মার্ট সিটি। এর মাধ্যমে রাজশাহী হবে সবুজ, পরিচ্ছন্ন, স্বচ্ছ্ব ও নির্মল শহর।
আসছে সেপ্টেম্বর মাসে রাজশাহীতে একটি ‘স্মার্ট কর্মসংস্থান মেলা’ করা হবে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা সংস্কৃতি গড়ে তেলায় স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সারাদেশে জাগরণ সৃষ্টি হয়েছে।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে স্মার্ট সিটি’র দৃষ্টান্ত তুলে ধরেন এটুআই নীতি উপদেষ্টা আনীর চৌধুরী। বুদ্ধিদিপ্ত প্রবলেম সলভার জাতি হিসেবে স্থানীয় ভাবেই সমস্যার সমাধানে রাজশাহীতে একটি ইনোভেশন ল্যাব স্থাপন এবং জাতিসংঘের শূণ্য ডিজিটাল বৈষম্যের শহর হিসেবে রাজশাহীকে গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি। পাশাপাশি রাজশাহী সিটির ৩০টি নাগরিক সেবার ডিজিটাল রূপান্তরের বিষয়টি তুলে ধরেন এমসিসি সিইও আশরাফ খান।