২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ কেমন হবে তার প্রতিচ্ছবি তুলে ধরতে আগামী ৯ জুন বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক সম্মেল কেন্দ্রে অনুষ্ঠিম হতে যাচ্ছে জেসিআই স্মার্ট এক্সপো। দুই দিনের সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে তরুণ উদ্ভাবক ও উদ্যোক্তাকে সম্মানিত করা হবে। এজন্য এরই মধ্যে শর্টলিস্ট হয়েছে নির্বাচিত হয়েছে ১৫টি আইডিয়া। এর মধ্যে তিন জনকে দেয়া হবে সিওয়াইই অ্যাওয়ার্ড-২০২৩। সম্মেলনে দুইটি হলে ১১টি সেশনে অংশ নেবেন ১১০ জন প্যানেলিস্ট। ভারত, ইন্দোনেশিয়ার মতো কয়েকটি দেশ থেকে আসবে অ্যাঞ্জেল ইনভেস্টর। ফোর্বস ৩০ এর ৯ ব্যক্তিকে নিয়ে থাকছে বিশেষ সেশন। এসব সেশনগুলোর আউটকাম শেয়ার করা হবে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে।
মঙ্গলবার আইসিটি টাওয়ারে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। শুরুতেই আয়োজনটির সর্বশেষ তথ্য সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন জেসিআই ডেপুটি ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট ইমরান কাদির। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বিআইজেএফ সভাপতি নাজনীন নাহার ও টিএমজিবি সভাপতি মোঃ কাউছার উদ্দীন।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এটুআই প্রকল্প পরিচালক ড. দেওয়ান মুহাম্মাদ হুমায়ুন কবীর বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশের মৌলিক পার্থক্য হচ্ছে প্রান্তিক স্থান নয়; ব্যক্তির কাছে সেবা পৌঁছে দেয়া হবে। সেবা খুঁজে নিতে হবে না; ব্যক্তিকে নতুন সেবা এলেই তাকে স্বয়ংক্রিয় ভাবে পৌঁছে দেয়া হবে। ২০২৫ সালে মানুষের জন্য একটি পরিচয় থাকবে। এনআইডি, জন্ম সনদ আলদা থাকবে না। সরকার উদ্যোক্তার ভূমিকা পালন করবে। সবার একটা করে ব্যাংক হিসাব থাকবে।
অনুষ্ঠানে আয়োজনের প্রধান আহ্বায়ক তাহসিন আজিম সেজানের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে জেসিআই ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট জিয়াউল হক জিয়া, এটুআই ডেভেলপমেন্ট মিডিয়া ম্যানেজার পূরবী মতিন বক্তব্য রাখেন।
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেসিআই ন্যাশনাল ভাইস প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদ আলতামিশ নাবিল এবং জেসিআই ফাউন্ডেশন চেয়ারপারসন তাহসিন আজিম সেজান।
বক্তব্য পর্ব শেষে জেসিআই স্মার্ট বাংলাদেশ সামিট, এক্সপো ও সিওয়াইই অ্যাওয়ার্ড ২০১৩ এর সকল আপডেট জানাতে একটি ওয়েবসাইট উন্মোচন করা হয়।
জেসিআই বাংলাদেশ এর ডেপুটি ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট ইমরান কাদির বলেন “এক্সপো আয়োজনের মাধ্যমে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক নামী ব্র্যান্ডগুলো তাদের ভবিষ্যত স্মার্টসল্যুশন প্রদর্শন করার সুযোগ পাবে”।
স্মার্ট এক্সপোতে থাকছে দর্শনার্থীদের জন্য চমকপ্রদ সকল প্রযুক্তির প্রদর্শন। ভবিষ্যতের স্মার্ট বাংলাদেশ কেমন হবে তার উপর ভিত্তি করে আয়োজন করা হবে ফিউচারিসটিক এক্সপো।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আগামী বছরও একই সময়ে এই এক্সপো করা হবে।
স্মার্ট বাংলাদেশ সামিট, এক্সপো ও সিওয়াইই অ্যাওয়ার্ড-২০২৩ আয়োজনের সহযোগিতায় থাকা এটুআই মূলত মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আওতায় বাস্তবায়নাধীন ও ইউএনডিপি’র সহায়তায় পরিচালিত একটি প্রকল্প যা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বিভিন্ন উদ্ভাবনী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। আয়োজনে সহযোগিতায় রয়েছে তথ্য প্রযুক্তি সংগঠন বেসিস, পোশাক শিল্পের সংগঠন বিজিএমইএ, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এবং ডেইলি স্টার। এ ছাড়াও ইভেন্ট পার্টনার হিসেবে রয়েছে আইএসপিএবি, বাক্য এবং ই ক্যাব।
স্মার্ট বাংলাদেশ সামিট, এক্সপো ও সিওয়াইই অ্যাওয়ার্ড-২০২৩ আয়োজনের পৃষ্ঠপোষকতা টাইটেল স্পন্সর স্বপ্ন, পাওয়ারড বাই হুয়াহে এবং প্লাটিনাম স্পন্সর বন্ডস্টাইন, টেলিকম পার্টনার গ্রামীণফোন। অন্যান্য পৃষ্ঠপোষকতায় রয়েছে: ইশো, ওয়েজলি, জিও, লিংক-৩, ওয়ালটন, সানাফি কনস্ট্রাকশন, সিনগুলারিটি, মাস্টারকার্ড ও মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক।