জাহাঙ্গীর আলম শোভন
বিগত ২০২২ সালের ০৬ ফেব্রুয়ারী ই-কমার্স উদ্যোক্তাদের তালিকাভুক্তির লক্ষ্যে ডিবিআইডি চালু করা হয়। দুটো প্রধান প্রত্যাশা ছিল ডিবিআইডিকে ঘিরে। প্রথমটি ছিল, হাজার হাজার ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা নিবন্ধন এর আওতায় আসবে এতে করে ক্ষুদ্র আবাসিক উদ্যোক্তাদের একটি সম্মানজনক পরিচয় তৈরী হবে। দ্বিতীয়টি ছিল, ফেসবুক ভিত্তিক উদ্যোক্তারা একটা নিয়মতান্ত্রিক তালিকাভূক্তির মধ্যে আসবে এতে করে তাদের অবস্থান ও ব্যক্তিকে প্রয়োজনে চিহ্নিত করা যাবে।
বিগত ০২ বছরে এই দুটোর কোনোটি হয়নি। লক্ষ্যে পৌঁছার জন্য ২ বছর সময় খুব বেশী না হলেও দুই বছরে যতটা পথ পাড়ি দেয়ার কথা তার কানাকড়িও হয়নি। ডিবিআইডি এর জন্য আবেদনও উল্লেখযোগ্য হয়নি আর যারা আবেদন করেছে তাদের মধ্যে ডিবিআিইডি পেয়েছে যৎসামান্য। আমরা যদি সংখ্যা দিয়ে বিচার করি। তাহলে মোট ই-কমার্স ও এফ কমার্স উদ্যোক্তার মাত্র ০২% ডিবিআইডির জন্য আবেদন করেছে আর তাদের মাত্র ১৫% ডিবিআইডি পেয়েছে। ২৪ ফ্রেব্রুয়ারী ২০২৪ পর্যন্ত আবেদন সংখ্যা ৭২২২টি এবং অনুমোদন ৯৫৩টি।
ডিবি আইডির প্রতি অনাগ্রহ এবং আবেদনের গ্রহণযোগ্যতার এই হাল কেন? সেটা আমরা আগে বলতে চাই। পরে যে বিষয়টি মূল আলোচনা সেটি হলো যে ডিবিআইডি হওয়ার কথা ছিল ই-কমার্স ব্যবসার জন্য সহায়ক সে ডিবিআইডি কিভাবে প্রতিবন্ধকরুপে আর্বিভূত হয়েছে সে বিষয়ে।
প্রথমত, ডিবিআইডি রেজিস্ট্রেশন করলে কোনো বিশেষ সুবিধা পাওয়া যায়না। এটি ট্রেড লাইসেন্স এর বিকল্প কিনা সেটাও কোথাও পরিষ্কার করা হয়নি। এটা দিয়ে ট্রেড লাইসেন্স করা যাবে এমন কোনো নির্দেশনাও জারি হয়নি। যদিও বর্তমানে এই সেবার যে হাল এর সাথে কোনো সুবিধা যুক্ত করা হলে তাতে আবেদনের হার বেড়ে গেলে তা সামাল দেয়া যাবে কিনা সেটা নিয়ে ভাবার অবকাশ রয়েছে।
দ্বিতীয়ত, ডিবিআইডি না করলেও তেমন কোনো সমস্যা হয়না। মানে ফেসবুকে অনায়াসে ব্যবসা করা যায়। ট্রেড লাইসেন্স ডিবিআইডির চেয়ে সহজে পাওয়া যায়। যদিও ডিবিআইডির মূল প্রস্তাব ছিল ট্রেড লাইসেন্স নেয়ার ক্ষেত্রে যে অনীহা সেটা যেন কাটিয়ে ওঠা। সম্প্রতি কিছু কিছু পেমেন্ট গেটওয়ে ডিবিআইডি ছাড়া সেবা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করলেও। উদ্যোক্তাদের বাস্তবতার আলোকে সেখানে শিথিল করতে হচ্ছে কারণ এমন অনেকে আছে ০২ বছর ধরে অপেক্ষা করেও ডিবিআইডি পায়নি। ০৭ বার ডিবিআইডি আবেদন বাতিল হয়েছে এমন অভিজ্ঞতাও অনেকের হয়েছে। এই মুহুর্তে যদি এমন কোনো বিধান জারি করা হয় যে, ডিবিআইডি ছাড়া ব্যবসা করা যাবে না তাহলে আবার সত্যিকার অনেক উদ্যোক্তা আটকে যাবে।
এই সমস্যার সমাধান কি? বেসরকারী খাত বা উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে এসব সমাধান লিখিত এবং এ সংক্রান্ত বিভিন্ন সভায় বার বার উপস্থাপন করা হয়েছে কিন্তু অগ্রগতির হার অতি নগন্য বা ১০% এর কম বললেও ভুল হবেনা। প্রথমত, ডিবিআিইকে একটি মর্যাদা দিতে হবে এটা ট্রেড লাইসেন্স এর বিকল্প হতে হবে অথবা এর মাধ্যমে ব্যাংক একাউন্ট খোলার সুযোগ দিতে হবে। দ্বিতীয়ত: ডিবিআইডি ছাড়া ই-কমার্স করলে এর জন্য জবাবদিহিতার আওতার আনতে হবে। তার আগে ডিবিআইডি প্রক্রিয়া সহজীকরন, তথ্য যাচাইকরণ, দ্রুত আবেদন অনুমোদন, বাতিলের হার ১০% এর নিচে আনয়ন ইত্যাদি করতে হবে। নচেৎ হিতে বিপরীত হতে পারে।
ডিবিআইডির আবেদন বাড়ানোর জন্য সচেতনতা ও প্রচারের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু আসলে ১৫% আবেদন বাতিল করে দেয়া আর ৬/৭বার বাতিল করা, কিংবা ২ বছরের অপেক্ষার গল্প থাকলে আগ্রহ বাড়ার কারণ থাকবেনা। সম্প্রতি ওয়বসাইটে এর আবেদন কলামে দেখা গিয়েছে এমন কিছু তথ্য বা শর্তকে বাধ্যতামূলক (লাল তারকা) করে রাখা হয়েছে যেগুলো অনেক আগেই বাদ দেয়া হয়েছে কিংবা ঐচ্ছিক করে দেয়া হয়েছে।
এটা সত্যি যে, বেশীরভাগ আবেদন বাতিল হয় আবেদনকারীর ভুলে। বাকীগুলোর কথা এই লেখা শেষ হলে বোধগম্য হবে। আবেদনকারীর ভুল এড়ানোর জন্য আবেদনপত্রের শুরুতে ‘‘হ্যাঁ/না’’ ভিত্তিক কিছু প্রশ্ন রাখার মাধ্যমে ভুল আবেদন এড়ানোর প্রস্তাব দেয়া হয়েছে এটি আমলে নেয়া হলেও আজ অবধি কার্যকর করা হয়নি। এছাড়া প্রস্তাব দেয়া হয়েছে ডিজিটাল উদ্যোক্তাদের ৫টি এসোসিয়েশন এর সদস্যদের আবেদনের প্রাথমিক বাছাইয়ের দায়িত্ব এসোসিয়েশনকে দেয়া হোক। এসোসিয়েশনগুলো এই দায়িত্ব নিতে রাজি হয়েছে এবং বাছাই ও অনুমোদন প্রক্রিয়া কি হবে এ সংক্রান্ত কয়েকটি প্রস্তাব (অপশন) দেয়া হয়েছে। এটি বাস্তবায়িত হলে সমস্যা অনেকাংশে সমাধান হয়ে যেত।
এবার আসি কিভাবে ডিবিআিইডি ব্যবসায় সহায়ক হওয়ার বদলে প্রতিবন্ধক হয়েছে, সে বিষয়ে। প্রথমে বিগত ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত ডিবি আইডি সেবার কিছু তথ্য ও উপাত্ত তুলে ধরা যাক।
ক. ডিবিআিইডি তালিকা বিশ্লেষন করে দেখা গিয়েছে বেশকিছু নন ডিজিটাল বিজনেসকে ডিবিআইডি প্রদান করা হয়েছে। ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত কমপক্ষে ৬টি এমন প্রতিষ্ঠানের নাম পাওয়া গিয়েছে। কোনোরুপ অনলাইন লিংক ছাড়া যারা ডিবিআইডি নিয়েছে তাদের উদ্দেশ্য নিয়ে আশংকা তৈরী হচ্ছে।
খ. ডিবিআইডি প্রদান করা হয়েছে এজন্য যাতে করে এতে একটি ইউনিক আইডি নাম্বার থাকবে এবং সে নাম্বার হলো রেজিস্ট্রার্ড উদ্যোক্তার পরিচিতি নাম্বার। আশ্চর্যের বিষয় হলো ডিবিআইডির যে তালিকা প্রদর্শণ করা হয় সেখানে ডিবিআইডি টা বা ডিবিআইডি নাম্বারটাই প্রদর্শণ করা হয়না। আরো একটি অস্বাভাবিক ব্যাপার হলো ডিবিআিইডিতে যে সিরিয়াল নাম্বার দেয়া থাকে সেটাও অনুসারেও কাউকে চিহ্নিত করা যায় না। কারণ সিরিয়াল নাম্বারটা দেয়া হয় পেছন দিক থেকে। মানে হলো সর্বশেষ যে প্রতিষ্ঠান তার নাম্বার সব সময় এক (০১) হয়। এতে করে প্রতিবার নতুন ডিবিআইডি দেয়া হলে ক্রমিক নাম্বার বদলে যায়। এটি পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে প্রায় ০২ মাস আগে। আজ (২৮ ফ্রেব্রুয়ারী ২০২৪) পর্যন্ত এই সিদ্ধান্তটি বাস্তবায়িত হয়নি।
গ. কমপক্ষে ২ টি ডিবিআইডি পাওয়া গিয়েছে যাদেরকে ব্যক্তি নামে ডিবিআইডি দেয়া হয়েছে। নির্দেশিকায় পরিষ্কার বলা ছিল এই রেজিস্ট্রেশন শুধুমাত্র ডিজিটাল বিজনেস এর জন্য এই ডিবিআইডি দেয়া হবে। এ ধরনের ভুল হওয়ার যৌক্তিকতা নেই কারণ ৩টি ডেস্কে ভেরিফাই করে এই ডিবিআইডি দেয়া হয়। কেন এমন হচ্ছে এটা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।
ঘ. আবেদন ও আবেদন ফর্মের অন্যতম প্রধান শর্ত ছিল প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের নাম বাংলা এবং ইংরেজীতে থাকতে হবে। এতে করে তাদের নামের বানান সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে। পরবর্তীতে চিহ্নিত করতে সুবিধা হবে। কিন্তু ৮৯৯ টি অনুমোদিত আবেদন বিশ্লেষণ করে দেখা গিয়েছে যে, ৩০টির বেশী প্রতিষ্ঠান তাদের প্রতিষ্ঠানের বাংলা নামের বানান প্রদান করেনি।
ঙ. এই বিষয়টি খুব স্পর্শকাতর। জনগনের কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে জেলে রয়েছে এবং নিউজ প্রকাশিত হয়েছে এমন প্রতিষ্ঠানকে ডিবিআইডি প্রদান করা হয়েছে। শুধু তাই নয় এসব প্রতিষ্ঠান ডিবিআইডিকে এমএলএম এর লাইসেন্স হিসেবে প্রকাশ করে জনগনকে বিভ্রান্ত করছে। এ ধরনের অন্তত ৪টি প্রতিষ্ঠানকে ডিবিআইডি দেয়া হয়েছে যারা এটা দেখিয়ে এমএলএম ব্যবসা করে যাচ্ছে।
চ. দুই এর অধিক প্রতিষ্ঠান তালিকাতে পাওয়া গিয়েছে যাদেরকে অনলাইনে ঔষধ বিক্রি করার জন্য ডিবিআইডি দেয়া হয়েছে। যদি ‘‘অনলাইন ফার্মাসি লাইসেন্স’’ ব্যতিত ডিবিআইডি দেয়া হয় তা হবে বেআইনি। বিষয়টি খতিয়ে দেখার অবকাশ রয়েছে।
ছ. ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন এর তথ্যমতে অসংখ্য প্রতিষ্ঠানের ডিবিআইডি আবেদন খারিজ করা হয়েছে। কারণ তাদের কোম্পানী নাম ও ওয়েবসাইট নাম এক নয়। কিন্তু ৬% এর বেশী ডিবিআইডি পাওয়া গিয়েছে যাদের নামের ভিন্নতা সত্বেও ডিবিআইডি দেয়া হয়েছে। এ ধরনের দ্বৈত আচরণ পুরো প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। এক্ষেত্রে যেসব প্রতিষ্ঠান ওয়েবসাইটে মালিকানার প্রমাণক প্রদর্শণ করবে তাদেরকে ডিবিআইডি প্রদান করা উচিত। যাদের প্রমাণক থাকবেনা তাদের ক্ষেত্রে কোনোমতেই সমীচিন হবে না।
জ. এক প্রতিষ্ঠানের নামে অন্য ব্যক্তিকে ডিবি আইডি প্রদানের মতো ঘটনা ঘটেছে। প্রশ্ন হলো এত কড়াকড়িভাবে যদি দেখা হয় যার কারণে ৮৫% শতাংশ আবেদন বাতিল হয়। সেখানে এই ঘটনা কি করে সম্ভব? দারাজের নামে ডিবিআইডি দেয়া হয়েছে একজনকে। যদিও দারাজের আলাদা ডিবিআইডি রয়েছে। দারাজ একটি মার্কেটপ্লেস। এখানে কমপেক্ষ ৫০ হাজার বিক্রেতা রয়েছে। যেহেতু দারাজের সব ধরনের লাইসেন্স রয়েছে তাই এখানকার বিক্রেতাদের ডিবিআইডি প্রয়োজন নেই। এ ধরনের সুযোগ থাকা উচিত নয়। তাহলে দারাজের নামে এমন অনেকে ডিবিআইডি নিয়ে যাবে কিন্তু কোনো অপরাধ সংগঠিত হলে তাদের অনলাইন প্লাটফর্ম সম্পর্কে জানার সুযোগ থাকবেনা।
ই-ক্যাব হচ্ছে ই-কমার্স খাতের বাণিজ্য সংগঠন। কিন্তু ই-ক্যাবের নামে অন্য কেউ ডিবিআইডি নিয়েছে। এখানে ইংরেজী বানান একটু আলাদা হলেও বাংলা বানান কিন্তু একই। যে ব্যক্তি এটা নিয়েছে তার কোনো দূরভীসন্ধি রয়েছে কিনা সেটা একটা বিষয়।
হতাশার বিষয় হলো মাসের পর মাস এসব বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের টেকনিক্যাল কমিটি ও জয়েন্ট স্টক কোম্পানীসমূহের নিবন্ধন অধিদপ্তরকে লিখিত এবং বিভিন্ন সভায় এজেন্ডাভূক্ত আলোচনার মাধ্যমে অবহিত করার পরও এই বিষয়ে কোনো অগ্রগতি হয়নি। বরং নতুন নতুন জটিলতা তৈরী হতে দেখা যাচ্ছে।
০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২২ তারিখে ১২জন উদ্যোক্তাকে ডিবিআইডি দেয়ার জন্য সচিবালয় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল এমনকি তাদের নামও পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল। তাদের ০৫ জনকে সেদিন ডিবিআইডি দেয়া হয়েছিল। বাকী ০৭ জনকে পরে দেয়ার কথা থাকলেও তাদের অনেকে এখনো ডিবিআইডি পায়নি।
বিতর্কিত, প্রতারণার দায়ে জেল হয়েছে এমন প্রতিষ্ঠানও পেয়েছে ডিবিআইডি অন্যদিকে ঠুনকো অযুহাতে সুনামের সাথে ব্যবসা করছে এমন প্রতিষ্ঠানকে ডিবিআইডি দেয়া হচ্চে না মাসের পর মাস।
একটি বিকাশমান খাতের জন্য সহজ নিবন্ধন, সম্মানজক পরিচয় ও প্রয়োজনে তাদেরকে খুঁজে পাওয়ার জন্য জরুরী ভিত্তিতে এই সেবা চালু হয়েছে। এর মাধ্যমে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা নানা সুবিধা পাওয়ার আশা করেছিল। আজ ০২ বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পরও সে আশার গুড়ে বালি। একদিকে ডিবিআইডির জন্য মাসের পর মাস অপেক্ষা এবং বার বার আবেদন বাতিল একদিকে উদ্যোক্তাদের হতাশ করছে। অন্যদিকে অনুমোদিত ডিবিআইডির ক্ষেত্রে নানারকম অনিয়ম এর মর্যাদাকে ক্ষুন্ন করছে এবং ভবিষ্যতকে অনিশ্চিত করে তুলছে। এভাবে চলতে থাকলে হয়তো এটি বাতিল করার জন্য উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে দাবী আসা অস্বাভাবিক কিছু নয়।
লেখক: নির্বাহী পরিচালক, ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ। সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ ট্রাভেল রাইটার্স অ্যাসোসিয়েশন।
দ্রষ্টব্য: অভিমত-এ প্রকাশিত পুরো মতামত লেখকের নিজস্ব। এর সঙ্গে ডিজিটাল বাংলা মিডিয়া কর্তৃপক্ষের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। বহুমতের প্রতিফলন গণমাধ্যমের অন্যতম সূচক হিসেবে নীতিগত কোনো সম্পাদনা ছাড়াই এই লেখা প্রকাশ করা হয়। এতে কেউ সংক্ষুবদ্ধ বা উদ্বেলিত হলে তা তার একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়।