মোস্তাফা জব্বার
বিজয় কিবোর্ড প্রতিষ্ঠাতা
বিজয় কীবোর্ড ও সফটওয়্যারের ৩৫ বছর পার হলো। ২৩ সালের ১৬ ডিসেম্বর পার হচ্ছে বিজয় এর ৩৬ তম জন্মদিন। এই সুদীর্ঘ সময়ে বিজয় অতিক্রম করেছে অনেক মাইল ফলক। বিজয় এখন জাতীয় প্রমিত কীবোর্ড (বিডিএস ১৭৩৮:২০১৮) বিজয় এর আসকি কোডও জাতীয় প্রমিত মান-বিডিএস ১৯৩৫:২০১৮। এখন বাংলাদেশের লাখ লাখ কীবোর্ডে বিজয় লেআউট মুদ্রিত হয়ে দেশের বাজারে আসে। এই সময়ে বিজয় বস্তুত দেশের সফটওয়্যার শিল্পের সবচেয়ে সফল ও জনপ্রিয় সফটওয়্যারের সন্মান পেয়েছে।
মনে করিয়ে দেই সেই সময়ে প্রচলিত ফটোটাইপসেটারের চমৎকার বাংলা অক্ষর আমাকে বিজয় উদ্ভাবনের অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে। সকলেই জানেন ১৬ মে ১৯৮৭ তারিখে বাংলা সাপ্তাহিক আনন্দপত্র প্রকাশ করে আমি কম্পিউটার দিয়ে বাংলা পত্রিকা প্রকাশ করার যুগে প্রবেশ করি। তখন আমরা সৈয়দ মাইনুল হাসানের মাইনুল লিপি ব্যবহার করেছিলাম। মুনীর কীবোর্ডকে অনুসরণ করে ৪ স্তরের কীবোর্ডটা আমিই বানিয়েছিলাম যার নাম ছিলো জব্বার কীবোর্ড-আমার বাবার নামে নাম। কিন্তু কীবোর্ডটির সমস্যা ছিলো ১৮৮টি বোতাম মুখস্থ রেখে বাংলা টাইপ করতে হতো। বিজয়-এর জন্মের পেছনে প্রযুক্তিগত প্রধান কারণ এটি।
টাইপরাইটার, শীশার কম্পোজ বা ফটোটাইপসেটারে বাংলা লিখতে গিয়ে অনুভব করেছি যে, রোমান কীবোর্ড দিয়ে অবিকৃতভাবে বাংলা বর্ণমালা তৈরি করা সত্যি সত্যি এক বিশাল চ্যালেঞ্জ। হাজার বছরের বাংলা ভাষার ইতিহাসে এই সংকট মোকাবেলায় বাংলা অক্ষর কমানো, যুক্তাক্ষর বর্জন, অর্ধবর্ণ ব্যবহার এবং রোমান বা আরবী হরফে বাংলা লেখার উদ্যোগসমূহের অন্যতম একটি কারণ ছিলো বাংলা যুক্তবর্ণ। আমি স্বপ্ন দেখতাম, কবে, কেমন করে এই যুক্তবর্ণের জটিলতার শেকল থেকে মুক্তি পাবো। বিজয় সৃষ্টি করে সেই শেকলটা আমি ভেঙ্গেছি।
বাংলার ছাত্র বলে কিনা জানিনা, এটি আমার মাথায় পুরো ৮৭-৮৮ সাল জুড়েই ঘোরপাক খাচ্ছিলো। যেহেতু আমি নিজে ‘জব্বার’ কীবোর্ড বানিয়েছিলাম সেহেতু যুক্তাক্ষর তৈরির গ্লিফগুলো সম্পর্কে আমার ধারণা খুব স্পষ্ট ছিলো। কিন্তু আমি চাইছিলাম এমন একটি উপায়, যার সাহায্যে আমি ব্যবহারকারীকে কীবোর্ড যুক্তাক্ষরের হাত থেকে রক্ষা করতে পারি। সেই ভাবনা থেকেই ‘বিজয়’ কীবোর্ড-এর নকশা তৈরি করতে থাকি। পুরো বছর জুড়ে মুহম্মদপুরের ৪২ সি কাজী নজরুল ইসলাম রোডের দোতালার বাসায় কতো রাত যে আমি পায়চারী করে কাটিয়েছি তা মনে করা সম্ভব নয়। কিন্তু কোনমতেই কম্পিউটারের সীমাবদ্ধ বোতামের মাঝে সকল বাংলা বর্ণের ঠাই করতে পারছিলামনা। তবে আমি নিশ্চিত ছিলাম যে, এমন একটা কিছু আমি অবশ্যই খোঁজে পাবো- আমার মাথায় এমন কিছু আসবে যার ফলে যুক্তাক্ষর নিয়ে কাউকে ভাবতে হবেনা। তবে আমার সমস্যাও ছিল অনেক।
আমি বাংলা ভাষা ও লিপি জানি, কম্পিউটারের ভাষা বা প্রোগ্রামিং জানিনা। কেমন করে কম্পিউটারের অপারেটিং সিস্টেম কাজ করে এবং তাতে কীবোর্ড ইন্টারফেস কেমন করে তৈরি করা যায় তার কোন ধারণাই আমার ছিলোনা। এছাড়া বাংলাদেশে মেকিন্টোস কম্পিউটারের জন্য প্রোগ্রামার পাওয়া যেতোনা। ভারতের রাবা কন্টেলের অরুণ নাথ তখন আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু।
আমি অরুণকে জানালাম, আমি মেকিন্টোসের জন্য বাংলা কীবোর্ড ড্রাইভার বানাতে চাই। আমার হাতে ফন্ট আছে- কিন্তু ফন্ট দিয়ে বাংলা লিখতে কীবোর্ডের চার স্তর ব্যবহার করতে হয়। আমি চার স্তর চাইনা- স্বাভাবিক দুই স্তর চাই। অরুণ আমাকে দিল্লী আসার বুদ্ধি দিলেন। সেখানে পরিচয় করিয়ে দিলেন, কুতুব হোটেলের কম্পাউন্ডের ভেতরেরই ডি-২ ফ্লাটে রাবা কন্টেলে কর্মরত প্রোগ্রামার দেবেন্দ্র জোশীর সাথে। বেটে খাটো জোশী এবং তার সাথে কর্মরত আরো কয়েকজন সহকর্মী তখন ম্যাকিন্টোসে ভারতীয় ভাষার কীবোর্ড ড্রাইভার এবং ফন্ট নিয়ে কাজ করছেন। তাদের মূল লক্ষ্য ছিলো দেবনাগরী ভাষাকে কম্পিউটারে প্রয়োগ করা। পাঞ্জাবী, গুজরাটী, তামিল, তেলেগু এবং মালয়ালমও তাদের তালিকায় ছিলো। তবে বাংলা তাদের কাজের তালিকায় ছিলোনা। পশ্চিমবঙ্গে তখন ম্যাকের বাজার খুব ছোট। রাহুল কমার্স নামে তাদের যে ডিলার কলকাতায় ছিলো, তারা তাদের বঙ্কিম ফন্ট নিয়েই সন্তুষ্ট ছিলো। কিন্তু আমি সুনন্দা ফন্টের পাশাপাশি বাংলা কীবোর্ড ড্রাইভার নিয়েও ব্যস্ত ছিলাম।
ডিসেম্বর মাসের শুরুতে (১৯৮৮ সন) জোশীর সাথে কুতুব হোটেলের ডি-২ ফ্লাটে কাজ করা শুরু করে আমি অনুভব করলাম যে, আমার স্বপ্ন সফল করা যেতে পারে। জোশী বাংলা জানতেন না- কিন্তু হিন্দী খুব ভালো জানতেন। ফলে আমি যখন তাকে হসন্ত (জোশী বলত হলন্ত) ব্যবহার করে যুক্তাক্ষর তৈরির কথা বললাম, জোশী তখন আমাকে আমার ফন্ট ফাইলটি (সুনন্দা ফন্টটি থেকে আমি তন্বী সুনন্দা ফন্ট বানাই) সাজিয়ে নিতে পরামর্শ দেন। জোশী তখন আমাকে এটিও জানান যে, ফন্টে কোডের ব্যবহার বাড়ালেও কোন অসুবিধা হবেনা।
আমি ১৮৮ অক্ষরের সংখ্যা বাড়িয়ে ২২০টি অক্ষর দিয়ে তন্বী সুনন্দা ফন্ট বানাই। আসকি কোডের যেসব জায়গায় কন্ট্রোল কী আছে সেগুলো ছাড়া ব্যবহার করা যায় এমন সকল কোডই আমি ব্যবহার করলাম। একটি যুক্তাক্ষরের তালিকাও আমি বানাই। আমার সাথে বিদ্যাসাগরের বর্ণ পরিচয় বইটি ছিলো। বইটি দিল্লী যাবার পথে কলিকাতায় কিনেছিলাম। তালিকাটি সেই মোতাবেক করা হয়। প্রতিটি যুক্তাক্ষর এবং তার কী কম্বিনেশন ও গ্লিফ চার্ট তৈরি করা হয়।
যতদূর মনে আছে, কুতুব হোটেলের ছয় তলায় ৫২২ নাম্বার রূমে বসে সাদা কাগজ আর পেন্সিল দিয়ে বারবার কাটাছেঁড়া করে দু’টি তালিকা প্রস্তুত করি আমি। একই সাথে প্রস্তুত করি বিজয় কীবোর্ড কোন নিয়মে কাজ করবে তার নিয়মাবলী। সেজন্য বিজয় কীবোর্ড প্রস্তুতের আগে আমাকে ভাবতে হয় অনেক কিছু। বিজয় কীবোর্ড সেই সময়ে বিদ্যমান সকল কীবোর্ডের মৌলিক ধারণা থেকে স্বাতন্ত্র নিয়ে আলাদা হয়ে যায়।
বিজয়-এর জন্মের সময় শহীদলিপি ও আবহ কীবোর্ড ছাড়া টাইপরাইটারের মুনীর কীবোর্ড প্রচলিত ছিলো। শহীদলিপি ও আবহ কীবোর্ড আমার পছন্দ হয়নি। কুতুব হোটেলের ৫২২ নাম্বার ঘরে বসেই যখন শেষ নকশাগুলো সম্পন্ন করা হয়, তখন গভীর রাত। দিল্লীর শহরতলীর নীরব ঐ হোটেলে কান পাতলে আমার শ্বাসের আওয়াজও আমি শুনতে পেতাম। চারপাশে জনবসতি নেই বলে গাড়ীঘোড়াও চলেনা। কাজ শেষ করে ফেলায় প্রায় সারা রাত উত্তেজনায় ঘুম হয়নি। আমার যদি সেই সময়ে মোবাইল ফোন থাকতো তবে আমি অবশ্যই জোশীকে গভীর রাতেই জাগাতাম। তখন ল্যাপটপ ছিলোনা। ফলে পুরো কাজটাই আমি কাগজে কলমে করি।
আমার টেনশন ছিলো, আমার লেআউট, যুক্তাক্ষরের সর্বশেষ তালিকা এবং কীবোর্ডের নিয়মাবলী কাজ করবেতো? যদি ‘না’ করে তবে আবার চেষ্টা করা যাবে। কিন্তু যদি করে- তবে সেই আনন্দ আমি কোথায় রাখবো?
সম্ভবত: শেষ রাতে শুয়ে পড়েছিলাম এবং ঘুম থেকে উঠে নাস্তা সেরে ডি-২ তে গিয়ে জোশীকে প্রস্তুতই পেয়েছিলাম। জোশী আগের দিনই বাংলা কীবোর্ডের জন্য মূল প্রোগ্রামিং তৈরি করে রেখেছিলো। আমার কাছ থেকে কীবোর্ডের লেআউট, বাংলা অক্ষরের কোড নং, লাতিন হরফের কোড নং এবং যুক্তাক্ষর তৈরির সিকুয়েন্স ও তার কোডসমূহ একের পর এক বসিয়ে গেলেন। ডি-২ এ্যাপার্টমেন্টে বসে ঘন্টা তিনেকের মাঝেই আমার তালিকার কাজ শেষ হলো। জোশী প্রোগ্রামটি কম্পাইল করলেন bkbd নামে। আমিই তাকে বলেছিলাম, এর নাম হবে বিজয় কীবোর্ড। সামনেই ছিলো ১৬ই ডিসেম্বর। সুতরাং আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম ঐদিনে এই কীবোর্ডটি আমি প্রকাশ করবো। স্বল্পভাষী জোশী মাত্র তিন কিলোবাইটের ঐ প্রোগ্রামটি আমাকে দেখালেন। আমি আমার আসল নামের গোলাম -এর জি অক্ষরটিকে লিংক বা হসন্ত হিসেবে রাখলাম। ইচ্ছে করলে এর বদলে এইচ বোতামটিকেও লিঙ্ক হিসেবে রাখা যেতো। বাংলা কীবোর্ড ও ইংরেজির মাঝে টোগল কী হিসেবে রাখলাম কন্ট্রোল- অপশন-বি। ‘বি’ দিয়ে বিজয় এবং বাংলা-দু’টিও বোঝায়। বিজয় কীবোর্ডটি যুক্ত করে বিজয় সফটওয়্যারের প্রোগ্রামিং শেষে নশনফ ফাইলটি জোশী তার ম্যাকের সিস্টেম ফোল্ডারে কপি করে দিয়ে আমাকে বললেন, পরীক্ষা করে দেখো। আমি তন্বী সুনন্দা ফন্ট এবং এর ১৪ পয়েন্ট সাইজ বাছাই করে কন্ট্রোল+অপশন বি টাইপ করে প্রথমেই ইংরেজি এইচ বোতামে চাপ দিই। ম্যাকের (সম্ভবত: ম্যাক এসই) পর্দায় বাংলা ব হরফ দেখা যায়। এরপর আমি ইংরেজি জে, জি এবং জে টাইপ করি। ক-এর পর হসন্ত এবং এরপর ক্ক হতে দেখে আমি প্রায় চিৎকার করে বলে উঠি- জোশী বিজয় কাজ করছে। জোশীর কোন প্রতিক্রিয়া হলোনা। একটা নির্লিপ্ত ভাব নিয়ে জোশী বললেন, সবগুলো কম্বিনেশন চেক করো। আমার পেন্সিলে তৈরি করা কীবোর্ড লেআউট এবং যুক্তাক্ষরের তালিকা আমি একের পর এক পরীক্ষা করি। বেশ সময় নেয় তাতে।
সম্ভবত: দুপুরের খাবার সময় পার হয়ে যায়। কিন্তু আমার পেটে কোন ক্ষুধা লেগেছিলো বলে মনে নেই। পরীক্ষা শেষে বিস্ময়করভাবে আমি লক্ষ্য করেছিলাম যে, আমার তালিকা, কীবোর্ড লেআউট বা জোশীর কোডিং-এর কোথাও সামান্য চুল পরিমাণ ত্রুটি ছিলোনা। সেদিন আমি যে এনকোডিং করেছিলাম তা (কিছুটা বদলে) ম্যাক ও.এস ৯.২ পর্যন্ত ব্যবüত হয়। সেদিন যে কীবোর্ড তৈরি করেছিলাম তা-ই বর্ধিতরূপে এখনো ব্যবহৃত হয়। তবে কম্পিউটার সোর্সের পারফেক্ট কীবোর্ডের লেআউটে ভুল করে ৎ নীচে ও ঃ উপরে ছাপা হয়। ফলে কীবোর্ড বদলাতে হয়- যা এখন বিজয় কীবোর্ডে বজায় রয়েছে। তবে পরে চেক করে দেখেছি দুয়েকটি যুক্তাক্ষর প্রথম তালিকায় ছিলোনা। ভ্ল, স্ক্ল এমন দুটি যুক্তাক্ষর আমি পরে যুক্ত করেছি।
২০০৪ সালে তিনটি বোতামের অবস্থানও পরিবর্তন করি। তবে আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি যে, ঐ দিন পৃথিবীতে আমার চাইতে সুখী মানুষ আর একটিও ছিলো না। আমার মনে আছে, দিল্লীর এই এলাকাটি আমার ভালো লাগতোনা। রুক্ষ্ম মরু অঞ্চলের মতো অজানা কাঁটা জাতীয় গাছে ভরা কুতুব হোটেলের চারপাশটাও আমার তেমন পছন্দ ছিলোনা। সবুজ দেশের মানুষের কাছে এমন মরু টাইপের অঞ্চল ভালো না লাগারই কথা। তবে হোটেলের রুম থেকে পুরোটাই সবুজ দেখা যেতো। দালানকোঠা চোখেই পড়তোনা। আমি কুতুব হোটেলের আশেপাশে হাটতামনা। হোটেল কম্পাউন্ডটা খুব সুন্দর-বাড়ীর মতো। বরং ওটা আমি পছন্দ করতাম। কিন্তু সেদিন বিকেলে বালুময় কুতুব মিনার এলাকাটি মনে হলো ঘন সবুজ নরম মাটিতে মাখানো বাংলার মাটি। বালিতে পা দিয়ে হাটতে গিয়ে মনে হয়েছে সবুজ দুর্বাঘাসের কার্পেটে ভর দিয়ে হাটছি, আর আমার জুতো ডেবে যাচ্ছে।
হাটতে হাটতে অদূরে মাথা উচু করে দাড়িয়ে থাকা কুতুব মিনারের চুড়োটার দিকে চোখে পড়তেই মনে হয়েছে, ওখানে ওঠে দাঁড়ালে কি ঢাকা দেখা যাবে? ওখান থেকে ডাক দিলে কি সানু, রিনকি, তন্বী শুনবে? হেলেন, রাব্বানী বা কিবরিয়া কি পাবে আমার গলার আওয়াজ? যদি তখনই হামিদকে দেখিয়ে দিতে পারতাম, ওর ডিজাইন করা হরফকে আমি কতো সুন্দর করে সাজিয়ে ফেলেছি? খুব কাছাকাছিই হযরত নিজামউদ্দিনের মাজার। একবার ভেবেছিলাম, বাবার মাজারের কথা স্মরণ করতে ওখানে যাবো? মার কথাও মনে পড়েছিলো।
কিন্তু সেদিনের সেই আনন্দ ভাগ করার কেউ ছিলোনা দিল্লীতে। তবে আমার মনে দৃঢ় বিশ্বাস ছিলো, আমার স্বপ্নের এই বিজয় অবশ্যই বিশ্ব জয় করবে। ৩৩ বছর পর পরিমাপ করতে পারছিনা সেই স্বপ্ন কতোটা সফল হলো। তবে এটুকু বুঝি বিজয় আমাকে বিশ্বজুড়ে বসবাসকারী বাঙালীদের মাঝে পরিচিত করেছে। এটিই এই জীবনের বড় পাওনা।