আয়োজন থেকে উদযাপন, সবকিছুতেই প্রযুক্তির ব্যবহার করে রবিবার সফল ভাবেই ইতি ঘটলো অতিমারির অলিম্পিক উৎসব। আনকোড়া নতুন উদ্ভাবনী প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ইতিহাসের সবচেয়ে আধুনিক অলিম্পিক গেমস দেখালো জাপান।
এবারের আসরে অ্যাথলেটদের পরিবহন করেছে চালকবিহীন ‘ইলেকট্রিক ভেহিকল (ইভি)’। থ্রিডি অ্যাথলেট ট্র্যাকিং (থ্রিডিএটি)’। মাঠে এবং মাঠের বাইরে মানুষের বিকল্প হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছে এআই রোবট। জিমন্যাস্টিক্স এবং স্কেটবোর্ডিংয়ের মতো খেলাগুলোর ভেন্যুর নির্দিষ্ট স্থানে দায়িত্বে ছিল ফোরকে ক্যামেরার এআই নির্ভর রোবট। ব্যবহৃত হয়েছে ‘সেলফ-ডাইভিং’ রোবট যা খুঁজে দিয়েছে অ্যাথলেটদের ছোঁড়া বর্শাগুলো। টয়োটার নির্মিত এই রোবটগুলো ৩৬০ ডিগ্রি ক্যামেরার প্রযুক্তির ব্যবহারেও বড় ভূমিকা রেখেছে।
এছাড়াও ইইজি সেন্সরসহ বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করে অ্যাথলেটদের মস্তিষ্ক তরঙ্গ মেপেছে যুক্তরাষ্ট্র। অ্যাথলেটদের শান্ত রাখতে ব্যবহৃত হয়েছে ‘মেডিটশন অ্যাপ’।
টুর্নামেন্টে নির্দিষ্ট ট্র্যাক ও ফিল্ড ইভেন্টে দর্শকদের নতুন প্রজন্মের গ্রাফিক্স ওভারলে ভিজুয়ালাইজেশন সুবিধা দিয়েছে ইনটেলের থ্রিডি অ্যাথলেট ট্র্যাকিং (থ্রিডিএটি)’। এআই নির্ভর এই পারফর্মেন্স ট্র্যাকিং প্রযুক্তির বদৌলতে একদিকে অ্যাথলেটদের অনুশীলন ব্যবস্থা সহজ হয়েছে, কমেছে ইনজুরির ঝুঁকি। মাল্টি-ক্যামেরা রিপ্লে সিস্টেমে অনেকটা ‘মেট্রিক্স’ সিনেমার অ্যাকশন সিকোয়েন্সের মতো রেপ্লে করা হয়েছে অ্যাথলেটদের পারফর্মেন্স-এর ভার্চুয়াল ভিডিও ক্লিপ।
১৭ দিন ধরে চলা ইভেন্টের বেশিরভাগেই দর্শকদের সশরীর উপস্থিতি ছিলো না। তবে সেই ঘাটতি পুষিয়ে দিয়েছে অলিম্পিক ব্রডকাস্টিং সিস্টেম। এই ওবিএস-এর বদৌলতে আল্টা-হাই ডেফিনিশন হাই ডাইনামিক রেঞ্জ-এর ভিডিও দেখতে পেরেছেন দর্শকরা। পেয়েছেন ত্রিমাত্রিক অভিজ্ঞতা।