পরিণত বয়সে পা দিয়েছেন এমন ১৭ শতাংশ মানুষ সঙ্গমের সময় স্মার্টফোন ব্যবহার করেন। গবেষণার মাধ্যমে এমন তথ্য দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক প্রযুক্তি পণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ‘শিওরসেল। অপরদিকে মরক্কোর কাসাব্লাঙ্কাতে অবস্থিত শেখ খলিফা বিন জায়েদ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হসপিটালের যৌন স্বাস্থ্য বিভাগের গবেষকরা জানিয়েছেন শুধু মানসিক স্বাস্থ্য নয়, শারীরিক মিলনের স্বাভাবিক ছন্দেও ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে মোবাইল ফোন।
মরক্কো ওয়ার্ল্ড নিউজ প্রকাশিত এই গেবষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর ৬০ শতাংশই জা যৌন জীবনে সমস্যায় ভোগেন।
এই গবেষণায় অংশ নেন মোট ৬০০ জন স্মার্টফোন ব্যবহারকারী। এদের মধ্যে ৯২ শতাংশই রাতে ঘুমানোর সময় স্মার্টফোন ব্যবহার করেন। মাত্র ১৮ শতাংশ মানুষ রাতে ঘুমানোর সময় ‘অ্যারোপ্লেইন মোড’ ব্যবহার করে স্মার্টফোর বন্ধ রাখেন ।
গবেষণার ভিত্তিতে গবেষকরা বলেন, “২০ থেকে ৪৫ বছর বয়সী মানুষ স্মার্টফোনের কারণে ক্ষতির শিকার হন। আর তার মধ্যে ৬০ শতাংশ জানান, স্মার্টফোন তাদের যৌন জীবনে বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
অংশগ্রহণকারীদের অর্ধেকই জানিয়েছেন তারা তাদের যৌন জীবন নিয়ে সন্তুষ্ট নন। কারণ এই কাজের সময়ে বড় একটা অংশ স্মার্টফোনের ব্যবহার দখল করে রাখছে।
এদিকে শিওরসেল গবেষণায় বলা হয়েছে, তিন চতুর্থাংশ ‘মিলেনিয়াল’ ঘুমানোর সময় মাথার পাশে স্মার্টফোন রাখেন। যারা মাথার পাশে স্মার্টফোন নিয়ে ঘুমান তারা এই যন্ত্রগুলো থেকে দূরে থাকলে ভয় ও অস্বস্তি অনুভব করেন। এর মাত্রা সাধারণ মানুষের তুলনায় দ্বিগুণ। আর এই মানুষগুলোই দাবি করেন তারা তাদের জীবন নিয়ে সন্তুষ্ট নন।
অপরদিকে ডারহাম ইউনিভার্সিটি এবং কনডম প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ‘ডিউরেক্স’য়ের যৌথ গবেষণায় প্রতিবেদন বলছে, সঙ্গীর তুলনায় স্মার্টফোনের প্রতিই বেশিরভাগ মানুষের আকর্ষণ বেশি। এই গবেষণার এক তৃতীয়াংশ মানুষ জানিয়েছে সঙ্গমের মাঝে তারা ফোন ধরার জন্য বিরতি দেন।