গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে পারসেভারেন্স নামের রোবট যানের সঙ্গী হিসেবে মঙ্গলের পাঠানোর পর থেকে একের পর এক চমক দিয়ে যাচ্ছে নাসার হেলিকপ্টার ইনজেনুইটি। লাল গ্রহের মাটিতে দেড় বছর পার করার পর এবার ৪৬ ফুট উঁচুতে ওঠার নতুন রেকর্ড গড়েছে ১ কেজি ৮০০ গ্রাম ওজনের এই হেলিকপ্টারটি।
যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠানের এই নভোযানটি ৩ ডিসেম্বর ৩৫তম বারের মতো মঙ্গলের আকাশে উড়েছে। সেসময় ৫২ সেকেন্ড শূন্যে ভেসে ছিল এবং ৫০ মিটার দূরত্ব অতিক্রম করেছে কপ্টারটি।
প্রায় এক মাসের মহাকাশযাত্রা শেষে রোববার বাংলাদেশ সময় রাত ১১টার পর ক্যালিফোর্নিয়া উপকূলের সমুদ্রপৃষ্ঠে নেমে আসবে আর্টেমিস ওয়ান মিশনের স্পেসক্র্যাফট ওরিয়ন।
এর ঠিক আগেই নতুন এই রেকর্ডের খবর দিলো বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
খবরে বলা হয়, এর আগে গত ২২ নভেম্বর হেলিকপ্টারটি সর্বোচ্চ ১৮ সেকেন্ড পর্যন্ত আকাশে উড়েছিল। গবেষকেরা এরপর থেকে হেলিকপ্টারটির আয়ুষ্কাল আরও বৃদ্ধি করতে এর সফটওয়্যার হালনাগাদ করেন। এরপর তারা পরীক্ষামূলকভাবে হেলিকপ্টারটি দীর্ঘ সময় ওড়ান।
এর পর গত ২ ও ৬ ডিসেম্বর মঙ্গলগ্রহের বালিয়াড়ির দুটি নমুনা সংগ্রহ করেছে এ রোবট। চলতি মাসের শেষ দিকে একটি স্থানে এসব নমুনা রেখে দেবে রোবটটি।
আর ২০৩০ সালের দিকে ভবিষ্যতের মঙ্গল মিশনে এসব নমুনা পৃথিবীতে আনার পরিকল্পনা রয়েছে বিজ্ঞানীদের। বিজ্ঞানীরা বলছেন, হেলিকপ্টারটির সফটওয়্যার হালনাগাদ করার ফলে এখন মঙ্গলের পাথুরে পৃষ্ঠের ওপর নামার সময় সংঘর্ষ এড়াতে পারবে।
নাসা ব্লগে ইনজেনুইটির প্রধান প্রকৌশলী বব বালারাম লিখেছেন, ইনজেনুইটির সাফল্যের ফলে নাসা এ দশকের শেষের দিকে মঙ্গল গ্রহের নমুনা পুনরুদ্ধারে আরও দুটি এ ধরনের হেলিকপ্টার সেখানে পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে। চলতি দশকের শেষ দিকে মার্স স্যাম্পল রিট্রাইভাল ল্যান্ডার নামের রোবটযান মঙ্গলে পাঠানো হবে। নমুনা উদ্ধারে ব্যবহৃত এ ধরনের হেলিকপ্টারে সাধারণ পায়ের পরিবর্তে থাকবে চাকা। এ ছাড়া এতে থাকবে ছোট বাহু। মঙ্গলগ্রহ থেকে নমুনা সংগ্রহের কাজে এ বাহু ব্যবহার করা হবে। এর বাইরে পাঁচ কেজি নমুনা সংগ্রহ করতে সক্ষম এমন হেলিকপ্টার নিয়েও পরিকল্পনা করা হচ্ছে।