গেলো বিশ্বকাপে টফিতে ফিফা ফুটবল দেখেছে ৪ কোটি। ওই সময়ে দৈনিক সক্রিয় ব্যবহারকারী ছিলো ৫২ লাখ। এছাড়াও ৫৭ লাখ ব্যবহারকারী নিয়ে বেশ এগিয়ে যাচ্ছে মাইবিএল সুপারঅ্যাপ। সেবার মান উন্নয়ন ও ৪জির প্রসারে গেলো বছরে সেবা থেকে ৯০ শতাংশ আয় বেড়েছে বাংলালিংকের। ডিজিটাল সেবা ও ডেটা থেকে গত বছরে তাদের আয় বেড়েছে ৩২.৬ শতাংশ।
সোমবার রাজধানীর গুলশানের টাইগার গার্ডেনে সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই তুলে ধরেন বাংলালিংকের মাদার প্রতিষ্ঠান ভিয়ন গ্রুপ চেয়ারম্যান কান তেরজিও গ্লু।
২০২২ সালের ব্যবসায়িক সফলতা ও ২০২৩ সালের পরিকল্পনা তুলে ধরে তেরজিও গ্লু বললেন, মানবিক-প্রাকৃতিক দুর্যোগ কাটিয়ে বেশ ভালো করছে বাংলাদেশ। রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে সেখানে ভিওন এর ব্যবসায় কমে যাওয়ায় বাংলাদেশ এখন ভিওনের জন্য দ্বিতীয় বৃহত্তম বাজার।
অনুষ্ঠানে বাংলালিংক সিইও এরিক অস জানালেন, চলতি বছরের মার্চে এসে বাংলালিংক এর গ্রাহক সংখ্যা ৪ কোটি ১০ লাখ ছাড়িয়েছে। অপারেটরটির ফোরজি ১৪ হাজার বিটিএস থেকে দেশের ৮১ শতাংশ জনসংখ্যার কাছে পৌঁছে গেছে তারা। সর্বোচ্চ তরঙ্গ নিয়ে ইয়ার অন ইয়ার নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ করে বার্ষিক আয় বেড়েছে ১২ দশমিক ৩ শতাংশ। আর ডিজিটাল সেবা থেকে আয় বেড়েছে ২৬.৬ শতাংশ এর ফলে গত তিন বছর ধারাবাহিক ফোরজি গতিতে ওকলায় সেরা হয়েছে।
এরিক বাংলালিংক এর টফি অ্যাপ নিয়ে জানালেন, এরইমধ্যে ৫ কোটি ২০ লাখ মানুষ নিবন্ধিত হয়েছে এই অ্যাপে। প্রতি মাসে দেখেন ২০ কোটি গ্রাহক। টানা তিন প্রান্তিকে দুই অংকের প্রবৃদ্ধি কেরেছে বাংলালিংক। গেলো বছরে আয় করেছে ৫৩৭৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে সেবা থেকে আয় হয়েছে ১০৪১ কোটি টাকা।
ভিওন চেয়ারম্যান ও বাংলালিংক সিইওর সঙ্গে সংবাদ সম্মেলনের প্রশ্নোত্তর পর্র্বে যোগ দেন বাংলালিংকের চিফ কর্পোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান এবং চিফ লিগ্যাল অফিসার জাহারাত আদিব চৌধুরী।
এছাড়াও অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলালিংকের চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার চেম ভিলি পাসও গ্লু এবং চিফ কমার্সিয়াল অফিসার উপাঙ্গ দত্ত।