বাজার ভারসাম্য রক্ষায় গ্রামীণফোনে সিম বিক্রি বন্ধ রখার সিদ্ধান্ত কিছুটা শিথিল করেছে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা-বিটিআরসি। রবিবার থেকে অপারেটরটিকে সশস্ত্র বাহিনী,অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও এমএনপি-সহ (নম্বর ঠিক রেখে অপারেটর পরিবর্তন) অন্যান্য কাজের জন্য শর্ত সাপেক্ষে সংশ্লিষ্টদের অনুকূলে ৭৮ হাজার সিম বিক্রির জন্য বরাদ্দ দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
সংস্থার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশন বিভাগের উপ-পরিচালক মাহদী আহমদের সই করা চিঠিতে এই অনুমোদন দেওয়া হয়।
চিঠিতে বলা হয়— ‘সশস্ত্র বাহিনীর জন্য ৬ হাজার ৫১৯টি, অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য ২১ হাজার ৪৮১টি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের (করপোরেট ব্যবহারকারী)জন্য ৩৫ হাজার, যানবাহন ট্র্যাক (ভিটিএস) করার জন্য ১০ হাজার এবং এমএনপির সেবার জন্য ৫ হাজারসহ মোট ৭৮ হাজার সিম বরাদ্দ করা হয়েছে। সাধারণ ব্যবহারকারীদের কাছে বিক্রির জন্য কোনও সিম বরাদ্দ দেওয়া হয়নি।’
চিঠিতে বিশেষভাবে বলা হয়, ‘সশস্ত্র বাহিনী, অন্যান্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনী, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে যেসব ব্লক/নম্বর বরাদ্দ রয়েছে— শুধু সেসব ব্লক/নম্বর থেকে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে নম্বর বা সিম বিক্রি করা যাবে।’
প্রসঙ্গত, গত ২৯ জুন বিটিআরসি এক নির্দেশনায় গ্রামীণফোনের ফোনের সব ধরনের সিম বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। বলা হয়, অপারেটরটি গ্রাহকদের কোয়ালিটি অব সার্ভিস নিশ্চিত করতে পারলেই নতুন সিম বিক্রি করতে পারবে। পরবর্তীকালে বিটিআরসি গ্রামীণফোনের ১৩ লাখ পুরনো সিম (রিসাইকেল সিম) বিক্রির অনুমোদন দেয়। কিন্তু সেই সিম বিক্রির অনুমোদনও গত ৬ নভেম্বর বিটিআরসি প্রত্যাহার করে নেয়। তারপর থেকে গ্রামীণফোনের সব ধরনের সিম বিক্রি বন্ধ রয়েছে।
৭৮ হাজার সিম বিক্রির অনুমোদনের বিষয়ে গ্রামীণফোনের করপোরেট অ্যাফেয়ার্স বিভাগের সিনিয়র পরিচালক হোসাইন সাদাত বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়ে ‘এই ধরনের নিষেধাজ্ঞা গ্রাহক স্বাধীনতা, ডিজিটাল বাংলাদেশের পরিপন্থী’ বলে মন্তব্য করেছেন। গণমাধ্যমকে তিনি বলেছেন, এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বিদেশি বিনিয়োগ নিরুসাহিত করবে। তবে গ্রাহক এবং ডিজিটাল বাংলাদেশের বৃহত্তর স্বার্থে এই সমস্যা দ্রুত নিষ্পত্তি করতে আমরা আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবো।