নেটওয়ার্ক ও সেবামান নিয়ে বুধবার বিটিআরসি’র সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছে মোবাইল অপারেটরগুলো। ওই মিটিংয়ে বাংলালিংক, রবি ও টেলিটকের পাশাপাশি গ্রাহক সংখ্যায় দেশের শীর্ষ মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোনও অংশ নিচ্ছে। বৈঠকে জিপি সিম বিক্রির নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আবেদন জানাতে পারে বলে খবর পাওয়া গেছে।
বিটিআরসিতে অনুষ্ঠিতব্য এই বৈঠকে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, সচিব মোঃ খলিলুর রহমান এবং বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার থাকবেন।
সূত্রমতে, গ্রামীণফোন সিইও ইয়াসির আজমানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল বৈঠকে তাদের নেটওয়ার্ক ও সেবামান তুলে ধরবেন বৈঠকে। একইসঙ্গে কীভাবে এই পরিস্থিতির উত্তরণ সম্ভব সে বিষয়েও একটি পরিকল্পনা তুলে ধরে তা বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করবেন।
প্রসঙ্গত, নিষেধাজ্ঞা আরোপের নির্দশনা দেয়ার পর থেকেই পুঁজিবাজারে অমাবশ্যায় আক্রান্ত হওয়ায় সপ্তাহ ঘোরার আগেই বিষয়টি নিয়ে বিচলিত অবস্থায় পড়ে অপারেটরটি। ফলে নিষেধাজ্ঞা আরোপের ৫ দিনের মাথায় রোববার (৩ জুলাই) ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের কাছে তা প্রত্যাহারে আবেদন করে গ্রামীণফোন। চিঠিতে নেটওয়ার্ক ব্যবস্থার উন্নয়নের বিস্তারিত তুলে ধরা হয়।
তবে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এখন কথায় নয়; বাস্তবে নেটওয়ার্কের উন্নয়ন দেখতে চান। ডিজিবাংলার সঙ্গে সোমবার রাতে আলাপকালে তিনি জানিয়েছেন, তাদেরকে দীর্ঘদিন ধরেই সময় দেয়া হয়েছে। এবার তাদের নেটওয়ার্ক ও সেবা মান ঠিক করতেই হবে। মান ঠিক হলেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হবে।
এর আগে ২৯ জুন মানসম্মত সেবা দিতে না পারায় গ্রামীণফোনের সিম বিক্রিতে অনির্দিষ্টকালের নিষেধাজ্ঞা দেয় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। তখন বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র জানিয়েছিলেন, তাদের সেবা উন্নত করার জন্য এ নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।
তবে বিটিআরসির এ অভিযোগ অস্বীকার করে গ্রামীণফোনের হেড অব কমিউনিকেশনসের খায়রুল বাশার জানান, বিটিআরসি এবং ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের বেঞ্চমার্কে আমাদের অবস্থা ভালো রয়েছে। আমরা ধারাবাহিকভাবে আমাদের নেটওয়ার্ক আধুনিকায়ন করছি। সুতরাং, এমন একটি বিষয়ে যখন কোনো ধরনের আলোচনা ছাড়া একটি চিঠি আসে, এটি আসলে আমাদের কাছে অপ্রত্যাশিত।