স্পেসএক্সের স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবা প্রতিষ্ঠান স্টারলিংক বর্তমানে ৩২টি দেশে সেবা দিচ্ছে। ক্রমেই সেবা আরও বিস্তৃত হচ্ছে। আর এই বিস্তৃতির অংশ হিসেবে ২০২৩ সাল নাগাদ বাংলাদেশে স্টারলিংকের সেবা চালু হতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
স্টারলিংকের সেবা কতটুকু বিস্তৃত হচ্ছে, সে বিষয়ে একটি মানচিত্র শেয়ার করা হয়েছে। এই মানচিত্রে ‘সেবার আওতাধীন’ চিহ্নিত দেশগুলো অবিলম্বে তাদের স্টারলিংক ইনস্টলেশন প্যাকেজ পাবে। ম্যাপে ‘ওয়েটলিস্ট’ এবং ‘শিগগির আসছে’ চিহ্নিত এলাকাও রয়েছে। ‘শিগগির আসছে’ চিহ্নিত দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে ব্রাজিল, সৌদি আরব, পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশ।
স্টারলিংকের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট অনুসারে, বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশ থেকে প্রি-অর্ডার গ্রহণ করছে। ৯৯ ডলারে প্রি-অর্ডারের সুযোগ পাবেন গ্রাহক। সমস্যা দেখা দিলে পুরো অর্থ রিফান্ড করারও আশ্বাস দেয়া হয়েছে ওয়েবসাইটটিতে।
স্টারলিংকের ওয়েবসাইটে বলা হয়, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বা বিটিআরসির অনুমোদনের উপর এই সেবা প্রাপ্যতা নির্ভর করবে। প্রতিটি কাভারেজ এলাকায় ‘আগে আসলে আগে পাবেন’ ভিত্তিতে অর্ডার গ্রহণ করা হবে।
এদিকে এক টুইটে শেয়ার করা ইলন মাস্কের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ৩২টি দেশে স্টারলিংকের ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পরিষেবা শুরু হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে আমেরিকার কিছু অংশ, মেক্সিকো, জার্মানি, ফ্রান্স এবং স্পেন। আপাতত স্টারলিংকে ইন্টারনেটের গতি থাকবে ডাউনলোড প্রতি সেকেন্ডে ১৫০ মেগাবিটস আর আপলোড ২০ মেগাবিটস। ল্যাটেন্সি ৩০ মিলিসেকেন্ড। তবে সবগুলো স্যাটেলাইট চালু হয়ে গেলে এর গতি দ্বিগুণ হয়ে যাবে।
Starlink is now available in 32 countries around the world. People ordering from areas marked “available” will have their Starlink shipped immediately → https://t.co/slZbTmHdml pic.twitter.com/CecM1pkf5D
— SpaceX (@SpaceX) May 13, 2022
প্রসঙ্গত, ‘স্পেস এক্স’ এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিশেষ করে যেসব স্থানে ইন্টারনেটের গতি খুব ধীর সেখানে উচ্চ গতির ইন্টারনেট পরিষেবা দিতে যাত্রা শুরু করে স্টারলিংক। এখানে সাবসস্ক্রিপশন করলে ব্যবহারকারীকে একটি স্যাটেলাইট ডিশ এবং একটি রাউটার দেওয়া হবে। ডিশটি বাড়ির ছাদে লাগিয়ে তার সঙ্গে রাউটারটি সংযোগ করে দিলেই ইন্টারনেট চালু হয়ে যাবে। এটি কনফিগার করার জন্য অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএসে একটি অ্যাপ দেওয়া আছে।
ডিবিটেক/বিএমটি