ভারত, সৌদি আরব ও মালোয়েশিয়ার পর চতুর্থ দেশে হিসেবে বাংলাদেশ থেকে ব্যান্ডউইথ কিনছে ভূটান। এরই মধ্যে বাংলাদেশের দেয়া প্রস্তাবিত মূল্যে ব্যান্ডউইথ আমদানিতে বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিসিএল)-কে সম্মতি দিয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার ল্যান্ড-লক দেশটি । শিগগিরই চুক্তি সম্পাদন করে বাংলাদেশ থেকে ব্যান্ডউইথ আমদানি করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে ভুটান টেলিকম লিমিটেড (বিটি)। আর এর মাধ্যমে ব্যান্ডউইথ রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে বাংলাদেশের ডিজিটাল অর্থনীতিতে যুক্ত হচ্ছে নতুন সম্ভাবনা।
এ প্রসঙ্গে দেশের ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বুধবার (২০ এপ্রিল) তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লেখেন,
এ বিষয়ে বিএসসিসিএল ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম হাবিবুর রহমান ডিজিবাংলা-কে বলেছেন, মাত্র লেটার অফ ইন্টেন্ট পেয়েছি। ব্যন্ডউইডথের পরিমাণসহ অন্যান্য বিষয়ে আলোচনা চলছে। তবে মিনিমাম ১০জিবিপিএস। মূল্যের বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষরের পর জানানো হবে।
অর্ধেকেরও কম খরচে দ্বিগুণ ব্যান্ডইউথ সক্ষমতা বাড়াতে চায় বিএসসিসিএল
এর আগে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং সর্বশেষ বাংলাদেশ সফরে এসে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী কাছে ব্যান্ডউইথ নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন। তারা কম দামে ব্যান্ডউইথ নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে। এছাড়াও গত বছর ২৪ ফেব্রুয়ারি ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের সঙ্গে ওয়েবিনারে সৌজন্য সাক্ষাতকালে বিষয়টিকে এগিয়ে নিতে পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত ভুটানের রাষ্ট্রদূত রিনচেন কুয়েনতসি।
এরপর বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয়ভাবে ভুটানকে একটি মূল্য অফার করে। ভুটান অতি সম্প্রতি সেই দামে সম্মতি দিয়ে বাংলাদেশকে জানিয়েছে, তারা ওই দামেই ব্যান্ডউইথ নিতে আগ্রহী।
বাংলাদেশ থেকে ব্যান্ডউইথ আমদানি দ্বিগুণ করার প্রস্তাব ভারতের
অবশ্য ভুটান সরাসরি বাংলাদেশ থেকে ব্যান্ডউইথ নিতে পারবে না। ভারতের ভূ-ভাগ দিয়ে ক্যাবল টেনে নিতে হবে। ভুটান ভারতের সঙ্গে এ ব্যাপারে আলাপ করে বাংলাদেশকে তার চূড়ান্ত অবস্থান জানালে চুক্তি হবে। এরপরই শুরু হবে রফতানি। একইভাবে নেপাল এবং শ্রীলঙ্কাও বাংলাদেশের কাছ থেকে ব্যান্ডউইথ নিতে পারে।
এদিকে ক্রমেই ব্যান্ডউথের চাহিদা বাড়ায় চলতি বছরের জানুয়ারিতে বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা ব্যান্ডউইথের পরিমাণ দ্বিগুণ করতে চায় ভারত। এরই মধ্যে ১০জি দেয়ার কাজ শুরু হয়েছে। আরো ১০জি রপ্তানির কার্যক্রম পরীক্ষাধীন রয়েছে।
অভ্যন্তরীণ চাহিদার পাশাপাশি রপ্তানি চাহিদা বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে দেশের ইন্টারনেট ব্যবস্থা নিরবচ্ছিন্ন করতে তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের বাস্তবায়ন কার্যক্রম হাতে নিয়েছে বিএসসিসিএল । আগামী ২০২৪ সালের মধ্যে তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবলটি চালু করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল সম্প্রসারণ করা হলে ব্যান্ডউইথের সক্ষমতা বেড়ে ১৩ হাজার ২০০ জিবিপিএস হবে।