ইন্টারনেটকে একটি মৌলিক অধিকার বিবেচনা করা সময়ের দাবি। ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় ডিজিটাল সংযোগ প্রতিটি মানুষের জীবন-জীবিকার জন্য অপরিহার্য সেবায় রূপ নিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন, ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। তিনি বলেন, উচ্চগতির ইন্টারনেট মহাসড়ক শহরের গণ্ডি ছাড়িয়ে দুর্গম গ্রামের মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে সরকার বদ্ধপরিকর।
বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) ঢাকায় বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভর্ন্যান্স ফোরাম-বিআইজিএফ আয়োজিত ইন্টারনেটের অন্তর্ভুক্তিমূলক সংযুক্তি-বিষয়ক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, বিআইজিএফ চেয়ারম্যান হাসানুল হক ইনুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিটিআরসি’র ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র, বিটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. রফিকুল মতিন, অ্যামটবের মহাসচিব ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এস এম ফরহাদ, সাবেক মহাসচিব টিআইএম নুরুল কবির, আইকান কর্মকর্তা সমীরন গুপ্ত ও আইএসপিএবি সভাপতি আমিনুল হাকিম বক্তৃতা করেন।
এখন শহরের চেয়ে বেশি ইন্টারনেটের চাহিদা গ্রামে উল্লেখ করে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী বলেন, গ্রামের মানুষ একসময় মোবাইল ফোনকে কেবল মুখে কথা বলার জন্য ব্যবহার করতেন। সে জায়গায় তারা এখন ইন্টারনেট ব্যবহার শুরু করেছেন। স্মার্টফোন ব্যবহারের দক্ষতা গ্রামের অনেক বয়স্কদের নেই, কিন্তু নতুন প্রজন্মের কাছ থেকে তারা শিখে নিচ্ছেন।
তিনি বলেন, দ্রুতগতির ইন্টারনেট সংযোগ প্রদানের অনুরোধ গ্রাম থেকেই বেশি আসছে। ২০২১ সালের মধ্যে এমন কোনও ইউনিয়ন থাকবে না, যেখানে অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্ক সংযোগ পৌঁছাবে না। ডিজিটাল অবকাঠামোর যে দুর্বলতা এতদিন বিরাজ করছিল তা অতিক্রম করার চেষ্টা হচ্ছে।
হাসানুল হক ইনু সাশ্রয়ী মূল্যে উচ্চগতির ইন্টারনেট নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, মোবাইল সার্ভিসের গুণগত মান নিশ্চিত করতে স্পেকট্রামের দাম কমানো এবং শেয়ারিং ব্যবস্থা থাকা উচিত। মানসম্মত ইন্টারনেট জনগণের দাবি। এর মাধ্যমে ডিজিটাইজেশন সহজ হবে, দেশের মানুষ উপকৃত হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি মেক্সিকোসহ পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো ইন্টারনেটকে মৌলিক অধিকার হিসেবে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করতে অভিমত ব্যক্ত করেন।