কীভাবে টেলিযোগাযোগ শিল্প বাজার ভারসম্য তৈরি হবে। চাহিদা না যোগানের লাগাম টেনে অপারেটরদের মধ্যে ভারসাম্য তৈরি করবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি। এসএমপি ইস্যুতে খাত সংশ্লিষ্টদের মধ্যে এ নিয়ে চলছে নানা জল্পনা।
তবে যতদূর জানাগেছে, যোগানের রাশ টেনে ধরে এই যাত্রায় বাজার ভারসম্যের দিকে হাঁটছে বিটিআরসি। এসএমপি তকমা দিয়ে এবার গ্রামীণফোনের সঙ্গে অপরাপর অপারেটরদের দূরত্ব ঘুচতে যাচ্ছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
অবশ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, গ্রাহক চাহিদা পূরণে নিরিখে সব অপারেটরের ব্যবসায়কেই নিয়ন্ত্রণের মধ্যে এনেই বাজার ভারসাম্য রাক্ষা সম্ভব হবে। তা না হলেও নম্বর ঠিক রেখে অপারেটর পরিবর্তনের পালে হাওয়া লাগলেও তা স্থায়ী হবে না।
সূত্রমতে, গত সপ্তাহে সরকারের এক নীতিনির্ধারণী বৈঠকে গ্রামীণফোনের সর্বনিন্ম কল রেট অন্যদের চেয়ে একটু বাড়িয়ে দিয়ে বাজার ভারসাম্যের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এসএমপি বিষয়ক বিধিনিষেধের অধীনে খুব শিগগিরি এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হবে।
অবশ্য এ বিষয়ে ইতিমধ্যেই নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে ‘প্রতিযোগিতা আইন’বিষয়টি আমলে নেয়ার অনুরোধ জানিয়ে এ ধরনের উদ্যোগের আপত্তি জানিয়েছে গ্রামীণ ফোন।
গ্রামীণফোন বলেছে, যেভাবে তাদেরকে এসএমপি অপারেটর হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে এবং তাদের ওপরে যেসব বিধিনিষেধ আরোপ হতে যাচ্ছে সেটি প্রতিযোগিতাকে বিনষ্ট করবে।
কিন্তু গ্রামীণ ফোনের এই আপত্তি ততটা আমলে নিচ্ছে না বিটিআরসি। সম্প্রতি এক বৈঠকে এমন সিদ্ধান্তেরই আভাস মিলেছে।
তবে কলড্রপ, গ্রাহক পর্যায়ে মূল্য বাড়ে এমন বিধিনিষেধের চেয়ে ডেটার ব্যবহার, এমএনপি, গ্রাহকের অভিযোগ, থ্রিজি, ফোরজি ইত্যাদি ইস্যুতে গ্রামীণফোনেও ওপর খবরদারি বাড়িয়ে এসএমপির ২০ বিধিনিষেধের প্রাণ হিসেবে বেবেচনা সময়ের দাবি মনে করছে টেলিকম বিশেষজ্ঞরা।