গ্রামীণফোন এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের (জিপিইইউ) সাধারণ সম্পাদক মিয়া মোহাম্মদ শফিকুর রহমান মাসুদকে চাকরিচ্যুতির প্রতিবাদে কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছে ইউনিয়ন নেতা-কর্মীরা।
প্রতিবাদ কর্মসূচির অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার তাকে অনতিবিলম্বে স্বপদে পুনর্বহালের দাবিতে রাজধানীর বিজয় নগরে জাতীয় শ্রম ভবনের সামনে বিক্ষোভ করেছে তারা।
জিপিইইউর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফজলুল হকের নেতৃত্বে এই সমাবেশ থেকে আন্দোলনকারীরা জানিয়েছে, কলকারখানা অধিদফতর করোনার শুরুতে একটা পরিপত্র জারি করেছিলো ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত কোনও কর্মীকে চাকরিচ্যুত না করতে। এক্ষেত্রে গ্রামীণফোন সেই পরিপত্রের নির্দেশনাও মানেনি। বরং সম্পূর্ণ গায়ের জোরে বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬ এর ২৬ ধারা প্রয়োগ করে টার্মিনেট করা হয়েছে যা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত । গ্রামীণফোন তার কর্মীদের হোম অফিসে পাঠিয়ে দিয়ে অনেককে কর্মহীন করে গণ ছাঁটায়ের অপতৎপরতা চালাচ্ছিল যা মিয়া মাসুদ রুখে দেওয়ার জন্য কোম্পানির ভিতরে ও বাইরে, বিভিন্ন সরকারি দফতরে চিঠি দেওয়া ও শ্রম স্বার্থ রক্ষায় আন্তর্জাতিকভাবে যারা কাজ করে তাদের সহযোগিতা চাওয়ায় মিয়া মাসুদকে গণ ছাঁটায়ের প্রধান বাধা হিসেবে চিহ্নিত করে ভবিষ্যতে সহজভাবে গণ ছাঁটাইয়ের সুবিধার্থে মাস্টার প্ল্যান করে টার্মিনেট করেছে।
মিয়া মোহাম্মদ শফিকুর রহমান মাসুদ গ্রামীণফোনের বিজনেস ডিভিশনের বিজনেস গভর্নেন্স অ্যান্ড ইন্টারনাল কমপ্লায়েন্স বিভাগের সিনিয়র স্পেশালিস্ট হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
জানা গেছে, ২৭ অক্টোবর গ্রামীণফোনের মানবসম্পদ বিভাগ থেকে মিয়া মাসুদকে চাকরিচ্যুতির চিঠি দেয়া হয় যা ওইদিন থেকেই কার্যকর হয়েছে। তার দেনাপাওনা আগামী ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে বুঝিয়ে দেয়া হবে বলেও চিঠিতে জানানো হয়েছে।