সংগঠন নেতাদের নিয়ে ঝুলন্ত তার অপসারণ শুরু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। বৃহস্পতিবার গুলশান ২ নম্বর চত্বর থেকে পিংকসিটি পর্যন্ত রাস্তার ওপরের সকল ঝুলন্ত তার অপসারণ করা হয়। রোববার ফের ওই অঞ্চল থেকে গুলশান ১ নম্বর চত্বরের দিকের ঝুলন্ত তার অপসারণ করা হবে।
পূর্ব নির্ধারিত কার্যক্রম অনুযায়ী এই অভিযান শুরু করেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম।
এসময় ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সেলিম রেজা, সচিব মোজাম্মেল হক, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিরুল ইসলাম, কোয়াব এর সভাপতি এস এম আনোয়ার কবির, আইএসপিএবি এর সভাপতি মোঃ আমিনুল হাকিম, সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হকসহ অন্যান্য নেতা এবং ন্যাশনওয়াইড টেরিস্ট্রিয়াল ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক (এনটিটিএন) প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ‘তারের (ক্যাবল) জঞ্জালের ফলে নষ্ট হচ্ছে শহরের সৌন্দর্য। তাই আগামী এক বছরের মধ্যে ঢাকার সব ঝুলন্ত তার নামিয়ে ফেলা হবে।’
তিনি বলেছেন, ‘যদি এনটিটিএন (ন্যাশনওয়াইড টেলিকমিউনিকেশন ট্র্যান্সমিশন নেটওয়ার্ক) তারা তাদের কাজ না করে, আমরা সিটি করপোরেশন থেকে আমাদের ড্রেনের নিচ থেকে পাইপ দিয়ে দেব। তারা সেই পাইপ দিয়ে তার নেবেন। এর জন্য তারা আমাদেরকে নির্দিষ্ট ফি দেবেন। সংস্থাগুলো আমাদের এই প্রস্তাবে রাজি হয়েছে।’
রাজধানী ঢাকায় ঝুলন্ত তারের জন্য বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি), কেবল অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (কোয়াব), ন্যাশনওয়াইড টেরিস্ট্রিয়াল ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক (এনটিটিএন), ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন (আইএসপিএবি) সহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো সবাই দায়ী বলে মত প্রকাশ করেন মেয়র আতিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘এনটিটিএন লাইসেন্স নিয়েও ১০ বছরে তারা কোনো কাজ করেনি। বিটিআরসি তারা নিয়ন্ত্রক সংস্থা, কিন্তু তারা এগুলো সেভাবে তদারকি করেনি।’
‘ঝুলন্ত তার অপসারণে সাধারণ গ্রাহকদের যেন ভোগান্তি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখা হচ্ছে’ দাবি করে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘আমরা এমনভাবে তার কাটতে বলেছি যেন গ্রাহকদের অসুবিধা না হয়।’
তিনি বলেন, ‘অনেক অভিভাবক আমাকে বলেছেন তাদের ছেলেমেয়েরা বাসায় ইন্টারনেটে ক্লাস করেন। এর জন্য সংস্থাগুলো আমার থেকে ৭ দিন সময় নিয়েছেন যেন মোড় বা ক্রসিংয়ের জায়গার তারগুলো না কাটি। এখন শুধু প্রধান সড়কের তার কাটা হচ্ছে।’