করোনাকালে বাজারে প্রচলিত হারের চেয়ে এক-তৃতীয়াংশ খরচে ক্যাশ-আউট সুবিধা এবং ডাক বিভাগের মাধ্যমে গ্রাম থেকে রাজধানীতে পণ্য এনে বড় বড় দোকানে বিক্রির ব্যবস্থা করে দিয়ে সেবায় শীর্ষ অবস্থানে উঠে এসেছে ডাক বিভাগের ডিজিটাল আর্থিক সেবা নগদ। সেবার আওতায় পাঁচ ধরনের উদ্যোক্তাদের হাজারে ৬ টাকায় ক্যাশ-আউট করার সুযোগ দিচ্ছে। এর মাধ্যমে সেবার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে আয়।
চলতি সপ্তাহে আয় থেকে ডাক বিভাগকে ১ কোটি ১২ লাখ টাকার লাভ দেওয়া হয়েছে। ডাক বিভাগের কোনো সেবা থেকে লাভ পাওয়ার ঘটনা গত ২০০ বছরে ডাক বিভাগের ইতিহাসে প্রথম।
এছাড়াও ‘মানুষ বাঁচলে দেশ বাঁচবে’ মূলমন্ত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ত্রাণ তহবিলে ৬০ লাখ টাকা প্রদান করেছে নগদ। টানা লকডাউনের কারণে কাজ হারানো ১৭ লাখ পরিবারের কাছে আর্থিক সহায়তা বিতরণ এবং বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের ৯০তম জন্মদিনে দুস্থদের মাঝে ভাতা বিতরণেও ব্যবহৃত হয়েছে এই ডিজিটাল প্লাটফর্ম।
অতিমারির এই সময়টাকে মানুষ যাতে ঘরেই থাকে তার অংশ হিসেবে ভিসা ও মাস্টারকার্ড থেকে ‘নগদ’ ওয়ালেটে টাকা নিয়ে আসার ব্যবস্থা করে ‘নগদ’। আর্থিক সেবার ডিজিটালাইজেশন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবেই সম্প্রতি সমাজসেবা অধিদপ্তর তাদের তিনটি ভাতা এমএফএস-এর মধ্যে বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছে।
করোনার আগে থেকেই ‘নগদ’ আর্থিক সেবাকে ডিজিটাল করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে, তবে মার্চের শুরু থেকে এক্ষেত্রে গতি পেয়েছে বলে মনে করেন ‘নগদ’-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর আহমেদ মিশুক।
কোভিড-এর ছয় মাসে ‘নগদ’-এর সেবা সম্পর্কে তানভীর আহমেদ মিশুক বলেন, রাষ্ট্রীয় একটি সেবা দেশের জরুরি প্রয়োজনে সেরা সাফল্য নিয়ে জনগণের পাশে দাঁড়াবে সেটাই স্বাভাবিক। তবে অনেকেই হয়তো ভাবতে পারেনি যে ‘নগদ’ এতটা অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারবে। জনগণের ভালোবাসা এবং আস্থার কারণেই আমরা তাদের জীবনকে ডিজিটাল করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে পারছি। আমরা চাই সরকারের ভিশন ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে ‘নগদ’ নেতৃত্বের ভূমিকায় থাকবে।