টেলিকম খাতের আগ্রাসন কমাতে এসএমপি নীতি বাস্তবায়নে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির কঠোর অবস্থান গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন বাংলালিংক সিইও এরিক অস। একইসঙ্গে শক্তিশালী ফোরজি নেটওয়ার্ক এর মাধ্যমে উন্নত ডিজিটাল সেবা প্রসারে প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন তিনি।
অপরদিকে নানা ডিজিটাল সেবার পাশাপাশি বাংলালিংক কোভিড মহামারি সময়ে সাড়ে ৩১ হাজার পরিবারখে খাদ্য ও স্বাস্থ সুরক্ষা এবং ৫ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীকে ফ্রি লাইভ ক্লাস করার সুযোগ অব্যাহত রেখেছে বলে জানিয়েছেন অপারেটরটির চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান।
তিনি আরো জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীদের একেবারেই স্বস্তায় ইন্টারনেট সেবা দিতে শিক্ষাবোর্ডের সঙ্গে কাজ করছে বাংলালিংক।
সেবা ও নেটওয়ার্ক মান উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় দ্বিতীয় প্রান্তিকে ডেটার ব্যবহার ৩০ শতাংশের বেশি হলেও বছর ব্যবধানে মোট আয় কমেছে ৩.৯ শতাংশ। দেশের ৫২ শতাংশ অঞ্চলেই পৌঁছে গেছে বাংলালিংকের ৪জি নেটওয়ার্ক। প্রান্তিক হিসাব তুলে ধরেন বাংলালিংকের চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার সেম ভেলিপাগ।
তিনি জানান, গত বছরের ২য় প্রান্তিকের তুলনায় বাংলালিংকে এ বছর ব্যবহারকারী ও ডোটার ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে যথাক্রমে ৩.৩ শতাংশ ও ৩০.৩ শতাংশ।
উন্নত ডিজিটাল সেবা নিয়ে বাংলালিংকের ব্যবসায়িক সফলতা নিয়ে সোমবার (১০ আগস্ট) আয়োচিত ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসব তুলে ধরা হয়।
বাংলালিংকের যোগাযোগ সমন্বয়ক আঙ্কিত সুরেকার সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে কোভিড সময়ে চলমান কার্যক্রম তুলে ধরেন এন অ্যান্ড ডি ডিরেক্টর যুবায়েদ উল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ডিজিটাল সেবার ব্যবহার বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন ডিজিটাল চ্যানেলের মাধ্যমে টপ আপ, অ্যাকাউন্ট ম্যানেজমেন্ট ও অন্যান্য সেবার বিষয়ে গ্রাহকদের অবগত করার প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছে বাংলালিংক । এর ফলস্বরূপ, এই বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে বাংলালিংক-এর সেলফ-কেয়ার অ্যাপ ও ভিডিও স্ট্রিমিং অ্যাপ “টফি”-এর ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রথম প্রান্তিকের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে যথাক্রমে ৫৮ শতাংশ ও ৬২ শতাংশ।