সাইবার আক্রমণ এবং ডাটা প্রতারণাকে টেকসই ওয়ার্ক ফ্রম অফিস রূপান্তরের ক্ষেত্রে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন রবি আজিয়েটার ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং মোবাইল ফোন অপারেটরদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশের (এমটব) সভাপতি মাহতাব উদ্দিন আহমেদ।
তবে কোভিড পরবর্তী সময়েও হোম অফিস চাহিদা অব্যহত থাকবে বলে মত দিয়েছেন তিনি। এক্ষেত্রে অফিস ব্যয়, বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে রিয়েল স্টেটের চাহিদা, যাতায়াত ও পরিবহনের ওপর চাপ যেমন কমবে একইসঙ্গে বায়ু দূষণের পাশাপাশি ব্যংক ঋণ চাহিদাও কমবে। সব মিলিয়ে একটি স্বাস্থ্যবান্ধাব জীবনের আহ্বান লক্ষ্য করা যাবে বলেও মনে করছেন রবি প্রধান নির্বাহী।
শনিবার বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিএমসিসিআই) আয়োজিত সিরিজ ওয়েব আলোচনার প্রথম পর্বের প্রধান বক্তা হিসেবে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপনায় এমন ধারণা দিয়েছেন তিনি। এসময় তিনি করোনা উদ্ভূত ১০টি বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন।
মাহতাব আহমেদ বলেন, আপত দৃষ্টিতে টেলিকম খাত ভালো ব্যবসা করছে ভাবা হলেও মূলত ডিজিটাল ওয়ালেটে অ্যাকসেস না থাকার কারণে রিচার্জ সমস্যায় পড়েন গ্রাহকরা। এর ফলে ২০-৩০ শতাংশ পর্যন্ত আয় কমেছে। লকডাউন ছুটির কারণে গ্রামাঞ্চলের ৫০-৭০ শতাংশ রিসেলার কাজ করতে পারেনি।
তিনি জানান, মহামারিতে দেশে রিমোট অফিস অ্যাপ্লিকেশন হিসেবে জুম, স্কাইপ, টিমভিউয়ার এবং মাইক্রোসফট টিমের ব্যবহার নাটকীয়ভাবে বেড়েছে। গুগল মোবিলিটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশে রিটেইল অ্যান্ড রিক্রিয়েশন কমেছে ৭৫ শতাংশ। পরিবহন ব্যবহার হ্রাস পেয়েছে ৭২ শতাংশ এবং গ্রোসারি ও ফার্মেসিতে যাতায়াত কমেছে ৫৪ শতাংশ। তবে ওটিটি অ্যাপের ব্যবহার বেড়েছে। এক্ষেত্রে দৈনিক ইউটিউব স্ট্রিমিং বেড়েছে ৬৮ শতাংশ এবং ফেসবুক লাইভ বেড়েছে ৩৪ শতাংশ। অপরদিকে প্রতিদিন ইমোর ব্যবহার ৬৭ শতাংশ, ফেসবুক ম্যাসেঞ্জার ২০ শতাংশ এবং হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার বেড়েছে ৯ শতাংশ।