বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে বাংলাদেশের লাখো বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের মাঝে ৭ই মার্চের ভাষণের অনুপ্রেরণা ছড়িয়ে দিতে এই ঐতিহাসিক ভাষণকে বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের ইশারার ভাষায় রূপদান করেছে দেশের শীর্ষ মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন। মঙ্গলবার (১৭ মার্চ) ইশারাভাষায় রূপান্তরিত এই ভাষণটি ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করার কথা জানিয়েছেন গ্রামীণফোনের হেড অব এক্সটার্নাল কমিউনিক্যাশন্স মুহাম্মদ হাসান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার এই অনবদ্য দলিল সকল বাঙ্গালী সহ সারা বিশ্বের মানুষের কাছে এক অনুপ্রেরণা হয়ে আছে। বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের সেই ভাষণ শোনার সুযোগ করে দেয়ার প্রচেষ্টা থেকেই সৈয়দ হাসান ইমাম, অপি করিম, তাহসান খান, আরাফাত সুলতানা লতা, বিদ্যা সিনহা মীম, মাসুমা রহমান নাবিলা, মনোজ প্রামাণিক, আফরান নিশো ও গাওসুল আলম শাওনদের মতন স্বনামধন্য মিডিয়া ব্যক্তিত্বকে দিয়ে ইশারার ভাষায় পুরো ভাষণটিকে ধারণ করার একটি ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা করেছে গ্রামীণফোন। বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে তরুণ প্রজন্মের কাছে নিয়ে আসতে গ্রামীণফোন সবসময়ই চেষ্টা করে। এই উদ্যোগটিও এর ব্যতিক্রম নয়।
প্রসঙ্গত, ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ বাঙ্গালী জাতি ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সনদ। তৎকালীন রেস্ কোর্সের ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবরের এই আগুনঝরা ভাষণই আমাদের দিয়েছিলো সাহস আর স্বাধীন বাংলদেশ দেখার স্বপ্ন। এই ভাষণে তিনি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমানে বাংলাদেশ) বাঙালিদেরকে স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানান। ২০১৭ সালের ৩০ শে অক্টোবর ইউনেস্কো এই ভাষণকে ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। ২০১৭ সালের অক্টোবরের শেষে ইউনেস্কো ৭ই মার্চের ভাষণকে “ডকুমেন্টারী হেরিটেজ” (বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য) হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।