এবার এসএমপির খড়গের শিকার হচ্ছে গ্রামীণফোন। মিনিট প্রতি কল রেট বেড়ে দাঁড়াবে ৬১ পয়সার কাছাকাছি। প্রতি মিনিটে আন্তঃসংযোগ চার্জ ৫ পয়সা বাড়িয়ে ১৫ পয়সা হবে। বাজার ক্ষমতাসম্পন্ন পরিচালনাকারী (এসএমপি অপারেটর) হিসেবে আদালতের রায়ে এমনই চাপে পড়তে যাচ্ছে বিপুল বকেয়া নিয়ে বিটিআরসির সঙ্গে আইনি লড়াইয়ে থাকা অপারেটরটি।
বিটিআরসি’র আইনজীবী ব্যারিস্টার রেজা-ই রাকিব জানিয়েছেন, বিটিআরসি গ্রামীণফোনকে যে প্রক্রিয়ায় এসএমপি অপারেটর হিসেবে ঘোষণা করেছে সেটির সঙ্গে আদালত একমত হয়েছে। একই সঙ্গে তাদের ওপর যে চারটি বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল সেগুলোও আগের মতোই রাখতে বলেছে।
অর্থাৎ বাজার ক্ষমতাসম্পন্ন পরিচালনাকারী (এসএমপি অপারেটর) হিসেবে ৪টি মৌলিক বাধার মুখে পড়তে যাচ্ছে জিপি। অপারেটরটির সর্বনিম্ন কল রেটের পাশাপাশি অন্য অপারেটরে ফোন দেয়ার ক্ষেত্রেও তুলনামূলক খরচ বাড়বে ৫ পয়সা। ৯০ দিনের পরিবর্তে গ্রামীণ ফোনের নম্বর বদলে সময় লাগবে মাত্র ৩০ দিন। পাশাপাশি প্রতিটি প্যাকেজ ঘোষণার আগে বাধ্যতামূলক ভাবে আগাম অনুমোদন নিতে হবে।
আদালতের সবুজ সঙ্কেত পেয়ে আগামী ৩০ দিনের মধ্যেই এই কঠোর নির্দেশনা পেতে যাচ্ছে তারা। আর নোটিশ প্রাপ্তির ১৫ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে হবে গ্রামীণফোনকে।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি গ্রামীণফোনকে এসএমপি অপারেটর হিসেবে ঘোষণা করা হয় এবং ১৮ ফেব্রুয়ারি চারটি বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে গ্রামীণফোন আদালতে গেলে বিটিআরসিকে এর কারণ জানাতে বলে। এরপর ১৯ মার্চ আগের বিধিনিষেধ বাতিল করে কমিশন।বিধিনিষেধ সংক্রান্ত জটিলতা দূর করতে প্রক্রিয়াটি নতুন করে শুরু করে কমিশন।এসএমপি ঘোষিত অপারেটরের জন্য সব মিলে ২০টি বিধিনিষেধের একটি তালিকাও করেছে বিটিআরসি, যা সময় সময়ে তারা জারি করবে। শেষ পর্যন্ত এটি নিয়েও আদালতে যায় গ্রামীণফোন। এবারও আদালত কিছু সংশোধনী দিয়ে আগেরগুলোই বহাল রাখে।