চলতি বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি মোবাইল অপারেটরদের সহযোগিতায় বিনামূল্যে সরকারি তথ্য গ্রাহককে পাঠানোর নির্দেশ জারি করে সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়। এ ক্ষেত্রে জুড়ে দেওয়া শর্তে ‘গভ. ইনফো’ মাস্কিংয়ে কেবল সরকারি প্রতিষ্ঠান, স্বায়ত্তশাসিত ও সংবিধিবদ্ধ সংস্থার এসএমএসসমূহ প্রচারের কথা বলা হয়। একইসঙ্গে এসএমএস প্রেরণকারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রেরিতব্য এসএমএসের কনটেন্ট ও এসএমএস অবশ্যই বাংলায় এবং ২০০ ক্যারেক্টারের (স্পেসসহ) মধ্যে এবং ওয়েবসাইটের লিংক, ই-মেইল অ্যাড্রেস, ট্রেডমার্ক করা শব্দ, কোনো বৈজ্ঞানিক ফর্মুলা এবং ইকুয়েশন ইংরেজিতে সংযুক্ত করে প্রচারের তারিখ উল্লেখ করে প্রেরণকারী প্রতিষ্ঠানের স্ব স্ব প্রশাসনিক মন্ত্রণালয় বা বিভাগ কর্তৃক ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মাধ্যমে বিটিআরসিতে চিঠি প্রেরণের নিয়ম বেধে দেয়া হয়।
দ্রুততম সময়ে নাগরিকদের কাছে জনগুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন তথ্য এসএমএস সম্পূর্ণ বিনামূল্যে পাঠাতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি থেকে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশিকাও দেয়া হয়। সেই নির্দেশিকা মেনে এসএমএস পাঠাতে ‘গড়িমসি’ করছে মোবাইল অপারেটরগুলো। অথচ নিজেদের প্রমোশনাল (প্রচারমূলক) এসএমএস দিয়ে গ্রাহকদের অতিষ্ঠ করায় কিছুদিন আগে জরিমানার মুখে পড়েছে শীর্ষ তিন অপারেটর। এতে ক্ষুব্ধ সরকারের ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ।
রোববার (২৭ অক্টোবর) সরকারের ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের টেলিকম শাখার এক চিঠি থেকে এ তথ্য জানা গেছে। চিঠিতে সই করেছেন বিভাগের উপ-সচিব মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম।
বিটিআরসি মোবাইল অপারেটরগুলোকে ‘বিনামূল্যে সরকারি তথ্য (গভর্নমেন্ট ইনফো) এসএমএস প্রেরণ সংক্রান্ত নির্দেশিকা, ২০২৪’ যথাযথভাবে অনুসরণ করতে নতুন করে নির্দেশনাও জারি করা হয়। একই সঙ্গে এ সংক্রান্ত তথ্য ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের ওয়েবসাইটে আপলোড ও স্থায়ীভাবে দৃশ্যমান রাখার জন্যও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, জনসচেতনতা বৃদ্ধি, শিক্ষা ও সেবামূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে রাষ্ট্রের সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও সংবিধিবদ্ধ সংস্থার অনুরোধে বিভিন্ন তথ্য জনগণের কাছে মোবাইল অপারেটরদের সহযোগিতায় বিনামূল্যে ‘গভ. ইনফো’ মাস্কিংয়ের মাধ্যমে পাঠানো হয়। মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে বিনামূল্যে জনগুরুত্বপূর্ণ এসব সেবা সব গ্রাহকের কাছে দ্রুততম সময়ের মধ্যে পৌঁছানোর জন্য ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ থেকে গত ৬ ফেব্রুয়ারি একটি নির্দেশনা জারি করা হয়।
এতে আরও বলা হয়, সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে, অনেকে এ নির্দেশনা যথাযথভাবে অনুসরণ করছে না। সেজন্য এ নির্দেশিকা ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের ওয়েবসাইটে আপলোড করে স্থায়ীভাবে দৃশ্যমান রাখার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়েছে।