দূরারোগ্য ব্যাধী ক্যান্সারের কাছে হার মানলেন টেলিকম বিশেষজ্ঞ আবু সাইদ খান। জীবনে ৬২তম বছরে, সোমবার সকাল ৮টা ৩৫ মিনিটে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন তিনি। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
প্রায় এক বছর আগে ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হন আবু সাইদ খান। তার ছেলে তৌফিক মাহমুদ ডন জানিয়েছেন, শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় গত ৩০ মার্চ তাকে সিএমএইচে ভর্তি করা হয়। আজ বাদ জোহর রাজধানীর সিএমএইচ মসজিদে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
টাঙ্গাইলে দ্বিতীয় জানাজা শেষে স্ত্রীর কবরের পাশে তাকে দাফন করা হবে।
তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ আইসিটি জার্নালিস্ট ফোরাম (বিআইজেএফ) গভীর শোক প্রকাশ করছে এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের জন্য সমবেদনা ও মরহুমের রূহের মাগফিরাত কামনা করেছে। এছাড়াও বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত বার্তায় বলা হয়েছে, ‘তার মৃত্যুতে টেলিযোগাযোগ খাতে পলিসি মেকিং এ একটি বড় রকমের সংকট সৃষ্টি হলো এতে কোন সন্দেহ নেই’।
আইএসপিএবি সাধারণ সম্পাদক নাজমুল করিম ভূঁঞা মরহুম আবু সাইদ খানের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে বলেছেন, টেলিকম খাতের এই ক্ষতি অপূরণী। এই খাতে তার অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
টিআরএনবি সভাপতি রাশেদ মেহেদী বলেছন, না ফেরার দেশে চলে গেলেন প্রিয় সাঈদ ভাই, যিনি বাংলাদেশে টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি সাংবাদিকতার পথিকৃৎ ছিলেন। তার কাছে আমার অনেক ঋণ, অনেক কিছু শিখেছি, জেনেছি তার কাছ থেকেই। শুধু সাংবাদিকতা নয়, বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে আবু সাঈদ খানের অবদান অসামান্য। তার চলে যাওয়া দেশের জন্যই অপূরণীয় ক্ষতি। টেলিযোগাযোগ সাংবাদিকতার “গুরু” হিসেবেই তিনি বেঁচে থাকবেন আমাদের মাঝে।
মৃত্যুর আগে আবু সাইদ খান কলম্বো ভিত্তিক একটি থিঙ্ক-ট্যাঙ্ক লার্ন এশিয়া-তে সিনিয়র পলিসি ফেলো হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ২০১০ সালের আগস্ট থেকে ২০১২ সালে জুলাই পর্যন্ত তিনি অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশের মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
এর আগে, তিনি ২০১০ সালে জুন পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় এরিকসনের দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রধান কার্যালয়ে কৌশল বিশ্লেষক ছিলেন।