ন্যাশনাল ব্রডব্যান্ড পলিসি ২০২৪ এর খসড়া মতামত দেয়ার শেষ দিনে নীতিমালায় বেশ কিছু সংশোধন, পরিমার্জন এবং অন্তর্ভুক্তির সঙ্গে বহুপক্ষীয় আলোচনার আহ্বান জানিয়ে সময় বৃদ্ধির আবেদন করেছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন। মতামতের কিছু অংশ গণমাধ্যমে তুলে ধরেছে সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ এই আবেদন জানান।
তিনি বলেছেন, আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতরের পর সকল স্টেকহোল্ডার ও গণমাধ্যম ব্যক্তিদের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে এই নীতিমালা অর্থাৎ জাতীয় ব্রডব্যান্ড পলিসি ২০২৪ বাস্তবায়ন করা হোক বলে আমরা মনে করি।
এছাড়াও খসড়া নীতিমালার প্রথম ও দ্বিতীয় অধ্যায়ে ব্রডব্যান্ড এর সঙ্গা ও লক্ষ্যমাত্রায় পরিমার্জন এবং ৫টি পরামর্শ দিয়ছে সংগঠনটি। পরামর্শগুলো হলো-
(১) এখানে লক্ষণীয় বিষয় বর্তমান সময়ে ব্রডব্যান্ড সেবা দানকারী আই এস পি (ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার) এর ভূমিকা ও কাজ কি এ সম্পর্কে কোন ব্যাখ্যা নাই।
(২) লক্ষ্যমাত্রা পূরণ কালীন সময়ে কি পরিমান ব্যান্ডউইথ ব্যবহৃত হবে এবং তার যোগান কিভাবে দেয়া হবে তার উল্লেখ নেই।
(৩) ব্যান্ডউইথ সরবরাহ করার জন্য ফাইবার অর্থাৎ (এনটিটিএন) এ ভূমিকা কি হবে এবং নিরবিচ্ছিন্ন ফাইবার সেবা দেয়ার জন্য ৬৫% ওভারহেড ফাইবার কে কিভাবে আন্ডার গ্রাউন্ডিং করা হবে সেই লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়নি।
(৪) বর্তমান আইএসপি সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠানের ওভারহেড তারের জঞ্জাল নিরসনের কোন লক্ষ্যমাত্রা বা প্রস্তাব নেই।
(৫) লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করার জন্য গ্রাহকের চাহিদা তৈরি, গ্রাহকের পর্যাপ্ত ডিভাইসের ব্যবস্থা, গ্রাহকের নিরাপত্তা, জন সচেতনতা এবং সেবার মূল্য কিভাবে নির্ধারিত হবে সেই সাথে এক দেশ এক রেট অন্তর্ভুক্ত করা হবে কিনা তার সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা নেই।
মতামতের মধ্যে ব্রডব্যান্ড এর সংজ্ঞায় সর্বনিম্ন গতি ২০ এমবিপিএস এর স্থলে ৫০ এমবিপিএস (মেগাবিটস পার সেকেন্ড) হওয়া উচিত বলে মনে করছে তারা। সংগঠনটির ভাষ্য, গতি আর সার্ভিস এক না হওয়া সত্য এখানে শুধু গতির কথা উল্লেখ করা রয়েছে ফলে কাঙ্খিত সেবা না পাওয়াটাই স্বাভাবিক। আমাদের সুপারিশ থাকবে ডাউনলোডের ক্ষেত্রে গতি হবে সর্বনিম্ন ৩৫ এমবিপিএস, আপলোড ৩০ এমবিপিএস এবং লেটেন্সি ২০ এমবিপিএস। আপনারা জানেন, সাম্প্রতিক বিশ্বের ক্ষমতাধর আমেরিকা সহ অন্যান্য দেশ এখন ব্রডব্যান্ডের গতি জিবিপিএস এর নির্ধারণ করতে যাচ্ছে সেখানে আমরা এমবিপিএসের গতির পরিমাণ বাড়াতে পারছি না।
নীতিমালার স্বল্পমেয়াদি লক্ষ্যমাত্রা সময় আরো বৃদ্ধি করা প্রয়োজন রয়েছে উল্লেখ করে বলা হয়েছে, আমরা যদি একটু পিছনের টেলি যোগাযোগ নীতিমালা ১৯৯৮ পর্যালোচনা করি তাহলে দেখা যাবে এখন পর্যন্ত আমরা লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পেরেছি ৭.৫৭ শতাংশ। কিন্তু নীতিমালা অনুযায়ী লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করার কথা ছিল ৭০ শতাংশ বর্তমান সময়ে। একইভাবে মধ্যমেয়াদী ও দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্যমাত্রা পরিবর্তন ও পরিবর্ধন করা যেতে পারে।