নতুন প্রজন্মকে স্মার্ট মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে শিক্ষার আমূল পরিবর্তন এবং শিক্ষকদের ইতিবাচক ভূমিকা পালনে গুরুত্বারোপন করেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। মঙ্গলবার ঢাকায় জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমি মিলনায়তনে একাডেমির ১৯৩ তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণের অংশগ্রহণকারিদের সাথে আয়োজিত মুক্ত আলোচনায় এমন অভিমত তুলে ধরেন তিনি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী বলেন, আমাদের ছাত্র-ছাত্রীরা খুবই মেধাবি। তারা যে কোন জটিলতা ধারণ করতে সক্ষম। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে নতুন প্রজন্ম আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি। এই শক্তির বিকাশে এবং পঞ্চম শিল্প বিপ্লবের উপযোগী মানব সম্পদ তৈরিতে শিক্ষা ব্যাবস্থা এবং শিক্ষকদের ভূমিকা অপরিসীম। শিক্ষার আমূল পরিবর্তন দরকার।
আর এই দরকার পূরণে সরকার উদ্যোগ নিয়েছে উল্লেখ করে মোস্তাফা জব্বার বলেন, ইতোমধ্যেই দেশের সুবিধা বঞ্চিত অঞ্চলের ছেলে মেয়েদের ডাক ও টেলিযোাগযোগ বিভাগের উদ্যোগে এসওএফ তহবিলের অর্থায়নে আমরা ৬৫০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং পার্বত্য অঞ্চলে ২৮টি পাড়াকেন্দ্রে ডিজিটাল কনটেন্টের পাঠ দানের মাধ্যমে শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরের অভিযাত্রা শুরু করেছি। আরও এক হাজারটি বিদ্যালয়ে শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরের কাজ চলছে।
টেলিযোগোযোগ মন্ত্রী দেশের দূর্গম ও সুবিধা বঞ্চিত এলাকায় প্রাথমিক বিদ্যালয় ও পাড়া কেন্দ্রে ডিজিটাল পদ্ধতিতে পাঠ দানের অভিজ্ঞতা ব্যক্ত করে বলেন, আশপাশের স্কুলের শিক্ষার্থীরা অনেকে টিসি নিয়ে এই সকল স্কুলে চলে আসছে। যেসব স্কুলে কম্পিউটার আছে সেসব প্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল কনটেন্ট দেওয়ার দাবি উঠেছে। তিনি বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীদের যদি সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়, তাহলে বিশ্বের যেকোনো মানদণ্ডকে তারা অতিক্রম করতে পারবে।
জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমির পরিচালক অধ্যাপক শাহ মো: আমির আলীর সভাপতিত্বে একাডেমির মহাপরিচালক প্রফেসর ড. নিজামুল করিম বক্তৃতা করেন। মহাপরিচালক প্রিন্টিং শিল্পে কম্পিউটার সংযুক্তি, ডিজিটাল প্রযুক্তিতে বাংলাভাষার প্রবর্তন এবং শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরে জনাব মোস্তাফা জব্বার এর অবদান তুলে ধরেন।