রাজধানীর ক্রিয়েটিভ আইটি ইন্সটিটিউটের অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের আয়োজনে শনিবার হয়ে গেলো জিপিটি-৩ কর্মশালা। Building Applications with Large Language Models শিরোনামের কর্মশালায় জিপিটি- ৩ এর সম্ভাব্যতার সাথে অংশগ্রহণকারীদের পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য ডিজাইন করা হয় এবং কীভাবে এটি দ্বারা চালিত অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করা যায় এ নিয়ে ধারণাও দেয়া হয়।
কর্মশালা পরিচালনা করেন সফটওয়্যার প্রকৌশলী ফারদীম মুনির। এ কর্মশালাতেই আগামীতে রাজধানীতে এআই হ্যাকাথন আয়োজন করার কথা বলা হয়। কর্মশালায় জিপিটি-৩ এর সক্ষমতা নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি দৈনন্দিন বিভিন্ন কাজে এর কার্যকরী ব্যবহার নিয়েও কথা বলা হয়। মেশিন লার্নিং মডেলকে ব্যবহার করে বিভিন্ন এপ্লিকেশন তৈরি নিয়েও আলোচনা করা হয়। খুব শীঘ্রই রাজধানীতে একটা হ্যাকাথন আয়োজন করার কথাও বলা হয়।
এ কর্মশালায় উপস্থিত হয়ে বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান জানান ঈদের পরে আয়োজন করা হ্যাকাথনে এই লাঙ্গুয়েজকে ব্যবহার করার পাশাপাশি তার হাতে কলমে প্রয়োগ দেখার চেষ্টা করা হবে। তারই প্রাথমিক ভিত্তি রচনা করা হলো এই কর্মশালার মাধ্যমে।
সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, ন্যাচারাল ল্যাঙ্গুয়েস প্রসেসিং এ বিপ্লব ঘটিয়েছে এই জিপিটি-৩ এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তৈরির ক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনা উন্মুক্ত করেছে। প্রযুক্তি দুনিয়ার এখন সবচেয়ে আলোচিত বিষয় মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ওপেনএআইয়ে তৈরি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাচালিত (এআই) চ্যাটবট – চ্যাটজিপিটি।
গত বছরের নভেম্বরে চালু হয় চ্যাটজিপিটি। দ্রুত জনপ্রিয়তা পায় এটি। এর পর থেকে বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষ চ্যাটজিপিটি ব্যবহার শুরু করেন। চ্যাটজিপিটি হচ্ছে একটা মেশিন লার্নিং মডেল। চ্যাটজিপিটিকে যেকোনো প্রশ্ন করলে লিখিত আকারে মানুষের মতো উত্তর দিতে পারে। কোনো কিছুর ব্যাখ্যা চাইলে ব্যাখ্যা দিতে পারে। কোনো কম্পিউটার প্রোগ্রাম লিখে দিতে বললে তা লিখে দেয়। কোনো একটা বিষয়ের ওপর নিবন্ধ লিখতে বললেও লিখে দেয়। নির্ভুল শব্দচয়ন এবং ভাষা ব্যবহার করায় চ্যাটজিপিটির লেখা মানুষের মতোই হয়ে থাকে। আর তাই এরই মধ্যে চ্যাটজিপিটির কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাচালিত (এআই) প্রযুক্তি নিজেদের বিং সার্চ ইঞ্জিন ও এজ ব্রাউজারে যুক্ত করেছে মাইক্রোসফট।