সরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর আন্তর্জাতিক সনদ আইএসও (ISO) অর্জন করেছে। প্রতিষ্ঠানের এ সাফল্য অর্জনের ভিত্তিতে আজ বৃহস্পতিবার ‘সুশাসন ও উদ্ভাবন: বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়ন’ শীর্ষক এক সেমিনার বিজ্ঞান জাদুঘরে অনুষ্ঠিত হয়।
সেমিনারে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, সিনিয়র সচিব জিয়াউল হাসান (এনডিসি), মন্ত্রনালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, সংস্থাপ্রধানগণ, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, বিভিন্ন বিজ্ঞান সেবী সংস্থার নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ সিভিল সোসাইটির নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ ও বক্তব্য রাখেন।
অফিস ব্যবস্থাপনায় উৎকর্ষতা, দর্শক সেবায় অসাধারণ সাফল্য, দেশব্যাপী শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিজ্ঞান অনুরাগ সৃষ্টি এবং তরুণ প্রজন্মের মধ্যে উদ্ভাবনী চিন্তা সৃজনে অসাধারণ প্রাতিষ্ঠানিক সাফল্য অর্জনের ভিত্তিতে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর আইএসও সনদ অর্জন করে সরকারি প্রতিষ্ঠানের জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে মর্মে বক্তারা সংস্থাটির কর্মকাণ্ডের প্রশংসা করেন। বাংলাদেশের ‘আর এন্ড জি’ কনসালটেন্ট নামক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে যুক্তরাজ্যের খ্যাতনামা ‘এজেএ ইউরোপ লিঃ’ নামক প্রতিষ্ঠান বিজ্ঞান জাদুঘরকে আইএসও ISO 9001:2015 সার্টিফিকেট প্রদান করে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মহাপরিচালক মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী আইএসও সনদ অর্জনের দীর্ঘ পথ পরিক্রমা উল্লেখ করে একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। অনুষ্ঠানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জিয়াউল হাসান (এনডিসি) বিজ্ঞান জাদুঘরের আইএসও সনদ অর্জনকে মন্ত্রণালয়ের সাফল্য হিসেবে অভিহিত করেন।
অনুষ্ঠানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলেন, “ সরকারি অফিসে আইএসও নিয়ে কখনো ভাবা হয় না, এক্ষেত্রে বিজ্ঞান জাদুঘরের এ অর্জন অবিশ্বাস্য। তিঁনি শিক্ষাক্ষেত্রে আইএসও প্রয়োগের আহ্বান জানিয়ে বলেন, দেশকে এগিয়ে নেবার এটাই সুবর্ণ সময়, এক্ষেত্রে তরুণ প্রজন্মকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে”।
অনুষ্ঠানে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের সাম্প্রতিক উন্নয়ন ও উদ্ভাবনী কার্যক্রমের উপর একটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।
এছাড়া সেমিনারে বক্তব্য রাখেন জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের প্রাক্তন মহাপরিচালক স্বপন কুমার রায়, বাংলাদেশ বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণ সমিতির সহসভাপতি মুনির হাসান এবং ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মফিজুর রহমান।