প্রাতিষ্ঠানিক সাফল্য অর্জনের জন্য আইএসও সনদ অর্জন করে সরকারি প্রতিষ্ঠানের জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর । দীর্ঘ দুই বছরের পথ পরিক্রমার পর যুক্তরাজ্য থেকে আইএসও সনদটি বিজ্ঞান জাদুঘরের নিকট হস্তান্তর করা হয়, যা’ ISO 9001:2015 নামে সমধিক পরিচিত।
অফিস ব্যবস্থাপনায় উৎকর্ষতা, দর্শক সেবায় অসাধারণ সাফল্য, দেশব্যাপী শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিজ্ঞান অনুরাগ সৃষ্টি এবং তরুণ প্রজন্মের মধ্যে উদ্ভাবনী চিন্তা সৃজনে অনবদ্য ভূমিকার স্বীকৃতি হিসেবে এই সনদ পেয়েছে সরকারি এই সংস্থাটি।সরকারি দপ্তর হিসেবে বিশেষত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ সংস্থা হিসেবে বিজ্ঞান জাদুঘর সর্বপ্রথম আইএসও সনদ অর্জনের এ সৌভাগ্য লাভ করলো, যা’ বাংলাদেশের সরকারি অফিস ব্যবস্থাপনাকে সমৃদ্ধ করার এক অনন্য মাইলফলক।
বৃহস্পতিবার (২৬ মে ২০২২) বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আইএসও সনদটি সংস্থার মহাপরিচালক মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরীর নিকট হস্তান্তর করেন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জিয়াউল হাসান। সভায় মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা এবং অধীনস্থ সংস্থা সমূহের প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।
এ প্রসঙ্গে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মহাপরিচালক মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী বলেন, “প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনায় এবং জনসেবায় আমরা সর্বোচ্চ দক্ষতা, জবাবদিহিতা ও শুদ্ধতা প্রতিষ্ঠায় কঠোরভাবে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।”
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি বিজ্ঞান জাদুঘর আইএসও সনদ প্রাপ্তির উদ্যোগ গ্রহণ করে। এরপরই দীর্ঘ প্রায় দু’ বছর বহুমুখী প্রশাসনিক সংস্কারমূলক কার্যক্রম, ব্যাপক উন্নয়নমূলক কর্মতৎপরতা এবং বহুমাত্রিক আধুনিকায়নের মাধ্যমে দর্শকবান্ধব অনন্য আবহ তৈরী ও শিক্ষার্থীবান্ধব নান্দনিক পরিবেশ তৈরীর নিরবচ্ছিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে।
এরপর বাংলাদেশের ‘আর এন্ড জি’ কনসালটেন্ট নামক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে যুক্তরাজ্যের খ্যাতনামা ‘এজেএ ইউরোপ লিঃ’ নামক প্রতিষ্ঠান আইএসও সার্টিফিকেট প্রদানের যাবতীয় অডিট কাজ সম্পন্ন করে। এ আলোকে প্রাতিষ্ঠানিক পরিবেশ, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্ম তৎপরতা, দর্শক সেবার মান, আধুনিক বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবন ইত্যাদি যাবতীয় খুঁটিনাটি বিষয় দীর্ঘ পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন করা হয়। বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় বিজ্ঞান জাদুঘরের কর্মীদের এবং প্রতিটি স্তরে নিরবচ্ছিন্ন অডিট কার্যক্রমও সম্পন্ন করা হয়।