এখন থেকে বিজ্ঞান জাদুঘর থেকেই উড়োজাহাজ বিজ্ঞান শিখতে পারবেন আগ্রহী শিক্ষার্থীরা। এজন্য একটি অ্যান্টোনভ ( ANTONOV AN 24) বিমানের মডেল নির্মাণ করে তা হাতে কলমে শেখার উপযোগী করে স্থাপন করা হয়েছে বিজ্ঞান জাদুঘরের প্রবেশ মুখে। এরই মধ্যে জাদুঘর ভূমিকা পালন করতে শুরু করেছে হাতের খড়ির ল্যাবরেটরি হিসেবেও।
বুধবার এখানে এসেই হাতে কলমে এবং তাত্ত্বিকভাবে উড়োজাহাজ নির্মাণ, উড়োজাহাজ উড্ডয়ন, উড়োজাহাজ অবতরণ ও উড়োজাহাজ পরিচালনা সম্পর্কে জানার সুযোগ কাজে লাগালো রাজধানীর কলেজ অব এভিয়েশন টেকনোলজি এবং ইউনাইটেড কলেজ অব এভিয়েশন, সায়েন্স এন্ড ম্যানেজমেন্ট এর ৬০ জন শিক্ষার্থী। তাদেরকে হাতে কলমে বিষগুলো সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন মালয়েশিয়া থেকে এরোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এ ডিগ্রীধারী বিজ্ঞান জাদুঘরের কনসালটেন্ট এরোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার তানজিয়া রশীদ।
পুরো কর্মসূচীতে বিজ্ঞান জাদুঘরের মহাপরিচালক মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী এবং প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। প্রশিক্ষণকালীন সময়ে পুরো জাদুঘর চত্ত্বর বিমান উড্ডয়ণের আওয়াজে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে, তৈরি হয় বিমান বন্দরের আবহ।
অনুষ্ঠানে আসা শিক্ষার্থীরা জানিয়েছে, এটা তাদের জীবনের একটা দুর্লভ অভিজ্ঞতা। বেশ রোমাঞ্চকর পরিবেশেই তারা শিখলেন পাঠ্যবিষয়।
এ প্রসঙ্গে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মহাপরিচালক মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী বলেন, “বিজ্ঞান জাদুঘরকে উড়োজাহাজ বিজ্ঞানের একাডেমিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হিসেবে করে তোলার স্বপ্ন থেকেই এ উড়োজাহাজ তৈরী করা হয়েছে। আগামীতে বিজ্ঞান শিক্ষার্থীরা শুধু ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার না হয়ে বিমানের পাইলট বা বিমান প্রকৌশলী হয়ে যেন দেশের চাহিদা মেটাতে পারে ও বিদেশে সুনাম বৃদ্ধি করতে পারে, সে লক্ষ্যে এ আয়োজন। আমাদের বিদেশ থেকে পাইলট ভাড়া করতে হয় এবং মেরামতের জন্য বিমান দেশের বাইরে পাঠাতে হয়। এ অভাব মোচন করতে বিজ্ঞান জাদুঘর বিমান নিয়ে একটি বিমান গ্যালারি এবং ল্যাবরেটরি স্থাপন করেছে সম্প্রতি। এর পরিধি ও কার্যক্রম আরো বাড়ানো হবে। মৌলিক বিজ্ঞান থেকে শুরু করে বিমান ও উড়োজাহাজ বিজ্ঞান শিক্ষার কেন্দ্র হিসেবে এ জাদুঘর যেন অবদান রাখতে পারে, সে লক্ষ্যে আমরা এগিয়ে যেতে চাই।”