বিশ্বের ১৬২ টি দেশের ২৮০০০ প্রতিযোগী এবং ৪৫৩৪ টি টিম এর সাথে ফাইট করে কুয়েট ও বাউয়েট এর সম্মিলিত টিম ” মহাকাশ” মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা আয়োজিত স্পেস এপ্স চ্যালেঞ্জ এর ” বেস্ট মিশন কন্সেপ্ট” ক্যাটাগরিতে “ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়ন হয়েছে”।
বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়া এই দলটি বাংলাদেশের খুলনা থেকে চ্যাম্পিয়ন হিসেবে নাসাতে মনোনয়ন পায়। কুয়েটে যন্ত্র প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী সুমিত চন্দ’র নেতৃত্বে এই দলের অপর সদস্যরা হলেন- বাংলাদেশে আর্মি ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের ছাত্রী তৃষা বসাক, কুয়েটের চামড়া প্রকৌশল বিভাগের ছাত্র আলভী রনক, সিএসই বিভাগের সমীর ইমতিয়াজ, সিভিল বিভাগের শিশির কাইরি এবং বাউয়েট সিএসই বিভাগের মোমিনুল হক।
বিজয়ীদের অভিনন্দন জানিয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, আমাদের তরুণরা যে মঙ্গলের সমস্যাও সমাধান করে সেই দৃষ্টান্ত তারা স্থাপন করলো বাউয়েট ও কুয়েটের দল ‘মহাকাশ’। এবার যেনো তারা নাসায় সম্মাননা গ্রহণের জন্য যেতে পারে সেজন্য তাদের সব ধরনের দেখভাল করবে আইসিটি বিভাগ।
এসময় এই টিমের বিজয়ের পেছনের নায়ক বেসিস পরিচালক ও বেসিস স্টুডেন্টস ফোরামের আহ্বায়ক আরিফুল হাসান অপু-কেও ধন্যবাদ জানান প্রতিমন্ত্রী।
বস্তুত, চাঁদে বিগত মানব মিশনগুলোতে মহাকাশচারীরা পৃষ্ঠতলে উপস্থিত ধূলিকণার মধ্যে কাজ করতে সমস্যার সম্মুখীন হয় বলে অভিযোগ করে আসছিলেন। কম গ্রাভিটিতে মূলত ধূলিকণা গুলো সহজেই উৎক্ষিপ্ত হয়ে ভাসতে থাকে, ফলে নমুনা সংগ্রহ করতে কষ্ট হতো মহাকাশচারীদের, একই সাথে মহাজাগতিক রেডিয়েশানের কারণে আয়নিত হওয়ায় তা স্পেসস্যুট-এর গায়ে লেগে থেকে স্যুট ড্যামেজ করার মত পরিস্থিতি তৈরি করতো। টিম মহাকাশ এই সমস্যার কার্যকর একটি সমাধান বের করে একটি টুলসেট উদ্ভাবন করে যেটি এই ধুলিকণাগুলোকে আবদ্ধ চেম্বারে আটকে ফেলে এবং ধুলিকণাগুলোকে ভেসে থাকার মত পরিস্থিতি তৈরি করতে দেয় না।
টিম মহাকাশের উদ্ভাবিত টুলস”ARSS-Advanced Regolith Sampler System” মূলত মহাকাশচারীরা ভিনগ্রহের পৃষ্ঠে অভিযানের সময় মহাজাগতিক ধুলিকণা মুক্তভাবে উড়তে থাকা নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যবহার করতে পারবে।