শপথের পর ঠাণ্ডাজনিত অসুসস্থতা কাটিয়ে বুধবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের নিয়ে গোপালগঞ্জের ঙ্গিপাড়ায় গিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান।
পুস্পস্তবক অর্পন পরে তিনি বেদীর পাশে কিছুক্ষণ নীরবে দাড়িয়ে মহান নেতার প্রতি গভীর সম্মান প্রদর্শন করেন। এরপর ফাতেহা পাঠ করে তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, ৭৫ এর ১৫ আগস্টের শহীদ ও মহান মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন তিনি।
এরপর সমাধি কমপ্লেক্স রক্ষিত পরিদর্শন বইয়ে মন্ত্রী জাতির পিতাকে নিয়ে স্বরচিত একটি কবিতা লিখেন।
এসময় নিউক্লিয়ার পাওয়ার কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের (এনপিসিবিএল) এমডি ও রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালক পরমাণু বিজ্ঞানী ড. শৌকত আকবর, বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের (বিসিএসআইআর) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আফতাব আলী শেখ এবং বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ-এর চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মোজাম্মেল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
টানা চার মেয়াদ ধরে একই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব গ্রহণের পর শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জাবাবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলেছেন, আমাদের সবচেয়ে বড় লক্ষ্য হচ্ছে রূপপূর বিদ্যুৎ কেন্দ্র। কেন্দ্রটি শেষ করাই আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ, এটির কাজ প্রায় শেষের পথে। সেনাবাহিনী ও সিভিলিয়ানদের নিয়ে কেন্দ্রটি পরিচালিত হবে।
তিনি আরও বলেন, এই কেন্দ্রটি বঙ্গবন্ধু চালু করতে চেয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে বাংলাদেশ আরও আগেই উন্নত বিশ্বে পরিণত হতো। রূপপুর বিদ্যৎ কেন্দ্র চালু হলে বাংলাদেশ বিশ্বের ৩৩তম দেশ হবে।
প্রসঙ্গত, গত ১৩ জানুয়ারি নতুন মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা সরকার প্রধান শেখ হাসিনার নেতৃত্বে টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিতে শ্রদ্ধা জানালেও, সেদিন উপস্থিত ছিলেন না স্থপতি ইয়াফেস ওসমান। অবশেষে নতুন সরকারের শ্রদ্ধা জানানোর চার দিনের মাথায় টুঙ্গিপাড়ায় গিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন এই টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী।
এমন বিলম্বে শ্রদ্ধা জানানোর কারণ জানতে চাইলে বিজ্ঞানমন্ত্রী বলেন, ‘নতুন মন্ত্রিসভার শপথ অনুষ্ঠানের পরদিন থেকেই ঠান্ডাজনিত অসুস্থতার কারণে বেশ খানিকটা বিড়ম্বনায় ছিলাম। তাই, মন চাইলেও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে টুঙ্গিপাড়ায় ফুল দিতে যাওয়া হয়ে ওঠেনি।’
স্থপতি ইয়াফেস ওসমান আরও বলেন, ‘জাতির পিতার দেখানো পথেই এগিয়ে যাবে আগামীর বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত শক্তির দোসরদের সব চক্রান্ত নস্যাৎ করবে দেশের সাধারণ মানুষ।’
এসময় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্ব দেশের যে উন্নয়ন হয়েছে তার ধারাবাহিকতা বজয় রেখে আগামীত আরো আধুনিক, উন্নত সম্মৃদ্ধ দুর্নীতি মুক্ত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে কাজ করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।
এর আগে সকালে মন্ত্রী জাতির পিতার সমাধিতে পৌঁছালে গোপালগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, টুঙ্গিপাড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ তাদের অভ্যর্থনা ও অভিনন্দন জানান।