মহাকর্ষ , তড়িৎ-চৌম্বকীয়, সবল নিউক্লীয় ও দুর্বল নিউক্লীয় বলের পর এবার পঞ্চম বল হিসেবে মিউয়ন বল-নিয়ে আশা দেখছেন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোর ফার্মিল্যাবের বিজ্ঞানীরা। ইলেকট্রনের মতোই এই কণাটি পরমাণুকে প্রদক্ষিণ করে এবং বৈদ্যুতিক প্রবাহের জন্য দায়ী। তবে এদের ভর ইলেকট্রনের চেয়ে প্রায় ২০০ গুণ বেশি।
একবার যদি এই ‘পঞ্চম বল’ এর অস্তিত্ব নিশ্চিত হওয়া যায়, তাহলে এটি শত বছরের মধ্যে অন্যতম সবচেয়ে যুগান্তকারী বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার হয়ে উঠতে পারে। আর এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, পদার্থবিজ্ঞানের ইতিহাসে নতুন এক যুগের সূচনা হতে যাচ্ছে।
২০২১ সালে প্রাপ্ত ধারণা থেকে সাম্প্রতিক সময়ে জি-মাইনাস-টু নামে একটি পরীক্ষায় মিউয়ন নামের অতিপারমাণবিক কণাগুলোকে ১৫ মিটার ব্যাসের একটি রিংয়ের মধ্যে ত্বরান্বিত করেছেন বিজ্ঞানীরা। এ ক্ষেত্রে কণাগুলোকে তারা অন্তত ১ হাজার বার আলোর গতির কাছাকাছি গতিতে ঘুরিয়েছেন। তারা দেখেছেন, কণাগুলো একটি সম্ভাব্য অজানা বলের কারণে এমন আচরণ করছে যেটিকে অতিপারমাণবিক কণার আদর্শ মডেল দিয়ে ব্যাখ্যা করা যায় না।
এ বিষয়ে ল্যাবটির জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী ড. ব্রেন্ডন কেসি বলেছেন, ‘আমরা সত্যিই নতুন কিছু অনুসন্ধান করছি। আমরা অতীতের চেয়ে আরও নির্ভুলভাবে পরিমাপগুলো করার চেষ্টা করছি।’
প্রমাণগুলো খুব শক্তিশালী হলেও বিজ্ঞানীরা এখনই কোনো চূড়ান্ত প্রমাণ পাননি। তারা আশা করছেন, সেটি পেয়ে যাবেন।