উষ্ণায়ন বৃদ্ধিতে বৈশ্বিক ঝুঁকি মোকাবেলায় বিজ্ঞান ক্লাবগুলোকে সচেতনতা গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মহাপরিচালক মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী।
বুধবার সংশ্লিষ্ট বিষয়ে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরে অনুষ্ঠিত সেমিনারে দেয়া বক্তব্যে এই আহ্বান জানান তিনি। এই আহ্বানকে আরো জোরদার করে সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) রেখা রানী বলেছেন, বৈশ্বিক উষ্ণায়ন রোধে ব্যক্তি সচেতনতা বড় প্রভাব ফেলতে পারে। ব্যক্তি সচেতনতার মাধ্যমে দূষণের মাত্রা কমানো সম্ভব।”
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন কালে পরিবেশ অধিদপ্তরের (ঢাকা গবেষণা কার্যালয়ের) পরিচালক ড.মু. সোহরাব আলী বলেন, “পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন একটি বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ। বিশেষ কোনো অঞ্চল বা জনগোষ্ঠী নয়, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাবের মুখে পড়েছে সারাবিশ্বের মানুষ। জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলা করতে হলে বিশ্বের প্রতিটি রাষ্ট্রের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস লাগবে। বনভূমি ধ্বংস বন্ধ করতে হবে, বৃক্ষরোপণ ও বনায়ন বাড়াতে হবে। প্রকৃতির ওপর মানুষের বিরূপ আচরণ বন্ধ করতে হবে।”
সভাপতির বক্তব্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মহাপরিচালক মুনীর চৌধুরী বলেন, “জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সরকারি কর্মকর্তাদের ভূমিকা পালন করতে হবে। পৃথিবীর শীর্ষ ধনী দেশগুলোর দূষণের ক্ষত বইতে হচ্ছে দরিদ্র রাষ্ট্রগুলোকে। ধনীদের ভোগ বিলাস কমাতে হবে। বিজ্ঞান ক্লাবগুলোকে কম্যুনিটি পর্যায়ে ব্যাপক পরিবেশ সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। সরকারি দপ্তরের দায়িত্ব পালনের সমান্তরালে নাগরিকদের পরিবেশ বান্ধব করতে হবে।”
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে অংশীজন, বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং বিভিন্ন বিজ্ঞানসেবী সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।