২০২৫ সাল নাগাদ আইসিটি খাতে আরো ৩০ লাখ কর্মসংস্থান, ৫ বিলিয়ন সমপরিমান রফতানি আয় এবং স্টার্টআপ থেকে ৫টি কোম্পানিকে শতকোটি ডলারের কোম্পানিতে রূপান্তর করার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
প্রতিমন্ত্রী আরো জানান, স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকনোমি, স্মার্ট গভর্নেন্স এবং স্মার্ট সোসাইটি গড়তে দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে আইসসিটি বিভাগ।
২০৪১ সাল নাগাদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আধুনিক সাশ্রয়ী বুদ্ধিদীপ্ত জ্ঞানভিত্তিক উদ্ভাবনী স্মার্ট বাংলাদেশের রুপকল্প বাস্তবায়নের প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে আইসিটি বিভাগের পক্ষ থেকে স্বল্প মেয়াদী একটি লক্ষ্য ধরা হয়েছে বলে সংসদকে জানিয়েছেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়নের পর জননেত্রী শেখ হাসিনা সজীব ওয়াজেদ জয়ের অনুপ্রেরণায় ৪১ সাল নাগাদ একটি উন্নত, আধুনিক, সাশ্রয়ী, বুদ্ধিদীপ্ত, জ্ঞানভিত্তিক, উদ্ভাবনী স্মার্ট বাংলাদেশের রূপকল্প আমাদের তরুণ প্রজন্মের সামনে দিয়েছেন। সেই স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরি করার জন্য চারটি স্তম্ভকে আমরা শক্তিশালী ভাবে গড়ে তুলতে চাই।
স্পিকার শিরিন শারমিনের পরিচালনায় রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর দেয়া বক্তব্য পেশের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে উপস্থিত ছিলেন।
এসময় ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ হিসেবে গড়ে তোলার পাশাপাশি প্রতিটি গ্রামকে একটি শহরে রূপান্তর করা হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ হবে স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সরকার এবং স্মার্ট সোসাইটির ওপর ভিত্তি করে। বাংলাদেশের মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি পণ্যের জন্য নতুন বিদেশী বাজার খোঁজার মাধ্যমে ডিজিটাল ডিভাইসের উৎপাদন এবং ডিভাইসের নিজস্ব বাজার সম্প্রসারণ করা হবে।