দেশে এখন ফেসবুক ব্যবহার করছেন ৫ কোটি ২০ লাখ মানুষ। তথ্য বা সংবাদ জানতে ইন্টারনেটে সংযুক্ত রয়েছে ১৩ কোটি মানুষ। অথচ এই ডিজিটাল প্লাটফর্ম ব্যবহার করে কুচক্রীরা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। ফ্যাক্ট চেক না করেই তা প্রচারের মাধ্যমে মিথ্যা সংবাদ ও গুজব ছড়াচ্ছে। এটা রোধে কাজ করছে আইসিটি বিভাগের এটুআই প্রকল্প ও হিউম্যান ডেভলপমেন্ট মিডিয়া। কিন্তু আন্তর্জাতিক ভাবে সরকারি ভাবে ফ্যাক্ট চেকার বিশ্বাসযোগ্য না হওয়ায় স্বাধীন ফ্যাক্ট চেকিং প্লাটফর্মকে সহযোগিতা করা হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে রবিবার অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে ‘পিআইবি-ইলার্নিং প্লাটফর্ম’ উদ্বোধন করলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
রাজধানীর সার্কিট হাউস সংলগ্ন প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ (পিআইবি) ভবনের সম্মেলন কেন্দ্রে টেকনলোজি মিডয়া গিল্ড বাংলাদেশের (টিএমজিবি) সদস্যদের নিয়ে সাংবাদিকতায় ফ্যাক্টচেক বিষয়ক তিন দিনের প্রশিক্ষণ কর্মাশালা শেষে এই প্লাটফর্মটি উদ্বোধন করেন প্রতিমন্ত্রী।
এসময় আসছে বিজয়ের মাসে ওয়ার্ল্ড ইকনোমিক ফোরামের সঙ্গে যৌথভাবে ঢাকায় সেন্টার ফর ফোর আইআর প্রতিষ্ঠিত করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, আইসিটি বিভাগের স্থাপিত এই সেন্টারে সংবাদকর্মীদের জন্য রোবটিক্সম, এআই, এমএল বা ডেটা অ্যানালিটিক্স বিষয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের কর্মশালা করার সুযোগ অন্তর্ভূক্ত থাকবে।
টিএমজিবি সাধারণ সম্পাদক মুরসালিন হক জুনাইদের সঞ্চালনায় পিআইবি মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ ও টিএমজিবি সভাপতি কাউছার উদ্দিন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করেন পিআইবি’র প্রশিক্ষক নাসিমুল আহসান।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের এই যুগে মেশিন লার্নিং প্রযুক্তির মাধ্যমে নিউজ কাস্ট করা হচ্ছে। মানুষের পরিবর্তে আমরা হিউম্যানয়েড রোবট দেখছি। এই পরিবর্তনকে অবহেলা করার কোনোই সুযোগ নেই। সাংবাদিক বন্ধুদের এই প্রযুক্তিগুলো সম্পর্কে সক্ষম করে গড়ে তুলতে প্রচেষ্টা চালাতে হবে। এজন্য এআইটি থাইল্যান্ডের সঙ্গে বিশেষ ফেলোশিপ চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় জনমত ও গঠন মূলক সমালোচনার প্রতিফলন ঘটাতে জনতার সরকার প্লাটফর্ম- মুক্তমঞ্চ, প্রধানমন্ত্রীকে বলুন, আপনিও বলুন ও মতামত দিন নামে নতুন নতুন বিভাগ চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী।
বক্তব্যে পিআইবি মহাপরিচালককে উদ্দেশ্য করে পলক বলেন, পিআইবি-তে যতদ্রুত সম্ভব একটি অত্যাধুনিক শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব করে দেবো। নির্মিয়মান ন্যাশনাল ডিজিটাল লাইব্রেরি’র একটি শাখা স্থাপন করা হবে।