আগামী ১০ বছরে ৫ মিলিয়ন মানুষের পেশা ঝুঁকির মুখে পড়বে। তবে ১০ মিলয়ন মানুষের জন্য তৈরি হবে নতুন পেশা। এ জন্য প্রয়োজন হবে দক্ষতার উন্নয়ন ও সফট স্কিল অর্জন। আর সেই দক্ষতা অর্জনের পাশাপাশি স্মার্ট বাংলাদেশকে নেতৃত্বস্থানীয় পর্যায়ে নিয়ে আসতে ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরামের সঙ্গে যৌথভাবে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে ৪ আইআর সেন্টার ফর এক্সিলেন্স স্থাপন করা হবে।
রবিবার রাজধানীর একটি হোটেলে বেসরকারি খাতে ‘গ্রাজ্যুয়েট ইমপ্লয়মেন্ট’ প্রোগ্রামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এমনটাই জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেছেন, ইতিমধ্যেই ইন্টারনেট সংযোগ সুলভ ও সহজলভ্য করে দেয়ায় দেশের তরুণরা এখন ঘরে বসেই বৈদেশিক মুদ্রা আয় করছেন। ফ্রিল্যান্সিং, বিপিও এবং ই-কমার্স যুক্ত হয়ে দেশের অর্থনীতির ভিতকে সুসংহত করছে। ২৫ হাজার স্টার্টআপ তৈরি হয়েছে। ৬ লাখ ৫০ হাজার ফ্রিল্যান্সার বাংলাদেশকে বিশ্বে ফ্রিল্যান্সিংয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে নিয়ে এসেছে।।
বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানান, আজ সকালেই তিনি বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতিকে একটি প্লাটফর্ম থেকে সবধরনের সফটওয়্যার সেবা দিতে ওএসএস প্লাটফর্ম তৈরির নির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, বেসকারি খাতের বিজনেস লিডারদের জন্য ওয়ানস্টপ ডিজিটাল সার্ভিস প্লাটফর্ম তৈরি করতে ইডিএস প্রকল্পের অধীনে এই সফটওয়্যার সল্যুশন প্লাটফর্ম তৈরি করতে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলকে নির্দেশনা দিয়েছি।
ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমন্ট অথরিটির নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলামের সভাতিত্বে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন ইউএনডিপি বাংলাদেশের স্ট্র্যাটেজিক অ্যাডভাইজার রিদওয়ান মুজিব সিদ্দিক।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন গ্রামীণফোন প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান, ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জী ও বিডা’র নির্বাহী সদস্য মোছা: মোহসিনা ইয়াসমিন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।