তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, ‘আইসিটি না শিখলে আগামী দিনে কিন্তু কোনো জায়গায়- ব্যবসায়, রাজনীতি বা অন্য কোনো পেশায় সফল হওয়া কিন্তু কঠিন হয়ে যাবে। আর সেইটা বুঝতে পেরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ ভিশন দিয়েছিলেন। এবং জনাব সজীব ওয়াজেদ জয় সারাদেশে ১৩ হাজার শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব প্রতিষ্ঠা করেছেন।’
এর ধারাবাহিকতায় এরই মধ্যে জয়পুরহাটে ৪২টি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দুইটি নির্বাচনী এলাকায় দুইটি ‘স্কুল অব ফিউচার’ এবং সদর উপজেলায় একটি জয় ডিজিটাল সার্ভিস ও ইমপ্লয়মেন্ট সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হবে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
শনিবার (৯ এপ্রিল) জেলার কালাই উপজেলায় ‘শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার’ এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
২০২৩ সালের মধ্যে প্রায় ৮৫ কোটি টাকা ব্যয় করে দুই একর জায়গার ওপর এই সেন্টারের নির্মাণ কাজ শেষ হবে এবং এখান থেকে প্রতি বছর এক হাজার তরুণের কর্মসংস্থান হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
এছাড়াও প্রশিক্ষণের পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সারদের আত্মকর্মসংস্থানে একটি সাইবার ক্যাফে স্থাপন এবং আরো ৫ একর জায়গার সংস্থান হলে সেখানেও একটি হাইটেক পার্ক স্থাপন করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং সেন্টারের মতো ছোট পরিসরে প্লাগ অ্যান্ড প্লে সিস্টেমে ইউনিয়ন পর্যায়ে একটি করে সাইবার ক্যাফে করে দেয়ার পাইলট প্রকল্প হাতে নেবো।
এর আগে আইসিটি বিভাগের লার্নিং এন্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের আওতায় জয়পুরহাট জেলায় প্রশিক্ষণ প্রাপ্তদের মধ্যে সর্বোচ্চ উপার্জনকারী ২৪ জন সফল ফ্রিল্যান্সারের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে একটি করে উপহার দেয়া হয়।
কালাই সরকারি মহিলা কলেজে অনুষ্ঠিত জনসভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, বাংলাদেশ ডিজেল প্লান্টের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সৈয়দ মুহাম্মাদ রফিকুল ইসলা, হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকর্ণ কুমার ঘোষ।
কালাই ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মীর ফজলুর রহমান মিলনের সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন। জেলা প্রশাসক শরীফুল ইসলাম, জেলা পুলিশ সুপার মাসুম আহমেদ, কালাই পৌর মেয়র রাবেয়া সুলতানা ইউএনও টুকটুক প্রমুখ।
স্বাগত বক্তব্যে হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (গ্রেড-১) ডা. বিকর্ণ কুমার ঘোষ বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী দেশের ৬৪টি জেলায় আইটি খাতে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির লক্ষ্যে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন করছে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ। এরই অংশ হিসেবে জয়পুরহাটে আজ ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হলো। জয়পুরহাট ছাড়াও এই প্রকল্পের আওতায় আরো ১০টি জেলায় (মানিকগঞ্জ, ভোলা, সিরাজগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, কুষ্টিয়া, বান্দরবান, নারায়ণগঞ্জ, চাঁদপুর, দিনাজপুর ও মেহেরপুর) শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন করা হচ্ছে। বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে এবং বাংলাদেশ সেনাবহিনীর সার্বিক তত্ত্বাবধানে ১১টি জেলায় প্রায় ৭৯৯ কোটি টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।
মন্ত্রী-এমপি, সচিব-স্থানীয় প্রশাসনের কর্তারা সাধারণ জনগণের সাথে মাটির ওপর সমান উচ্চতায় বসেই অনুষ্ঠান উদযাপন করেন। সাম্যময় এই সহঅবস্থান সর্বসাধারণের মধ্যে বিশেষ মর্যাদা পেয়েছে।