সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকায় ডিজিটাল ডিভাইস চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনা বেড়েছে। বিশেষ করে ছিচকে চোর-ছিনতাইকারীরা রাস্তায় মোবাইল টান দিয়ে নিয়ে দৌড়ে পালায়। আর তাদের অধিকাংশই মাদকসেবী। পাশাপাশি চোরাই মোবাইলগুলোর আইএমই নম্বর পরিবর্তন করে তা বিক্রিতে একটি চক্র বেশ সক্রিয়। তাদের মাধ্যমেই চোরাই মোবাইল কিনে আইনি জটিলতায় ফাঁসছেন সাধারণ ক্রেতারা। শিকার হচ্ছেন হয়রানির।
এমন পরিস্থিতিতে চোরাই মোবাইল না কেনার পরামর্শ দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম-কমিশনার (অ্যাডমিন অ্যান্ড ডিবি-দক্ষিণ) মো. মাহবুব আলম।
শনিবার (৯ এপ্রিল) ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, ‘হাতিরপুলের স্টার্নপ্লাজা, মোতালেব প্লাজা, গুলিস্তান এলাকায় কেউ গেলে, তাদের মোবাইল আইএমই নম্বর পরিবর্তন করে নিতে পারে। আমরা বিভিন্ন সময়ে তাদের বিরুদ্ধে অ্যাকশন ও বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছি।’
অনলাইনে চোরাই ও ছিনতাই করা মোবাইল বিক্রির কোনো ডিসট্রিবিউশন কোম্পানি জড়িত- এমন কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য পেয়েছেন কি না প্রশ্নের জবাবে ডিবি দক্ষিণের এই যুগ্ম কমিশনার বলেন, ‘অনলাইনে যে কেউ যে কোনো মোবাইল বিক্রি করতে পারেন। যেমন- বিক্রয় ডটকমে যদি কেউ বিজ্ঞাপন দেন, তাহলে সেখানেও বিক্রির জন্য ক্রেতা পাবেন।’
তবে চোরাই-ছিনতাইকৃত আইফোন দেশের বাইরে যাচ্ছে উল্লেখ করে মাহবুব আলম বলেন, ‘শুধু দেশীয় মার্কেট কিংবা শপিংমলগুলোতে নয়, চোরাই মোবাইল দেশের বাইরেও পাচার হচ্ছে। যেমন ছিনতাইকৃত আইফোনগুলো যাচ্ছে দেশের বাইরে।’
রাস্তায় কেউ ছিনতাইয়ের শিকার হয়ে হলে পুলিশ মামলা নিতে চায় না, সাংবাদিকদের এমন অভিযোগ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘অনেকে নিজের মোবাইল কীভাবে চুরি হয়েছে, তা নিশ্চিত হতে পারেন না। তিনি স্পষ্ট থাকেন না, চুরি নাকি হারিয়েছে। যখন পুলিশের কাছে যায়, তখন ঠিকভাবে উপস্থাপনও করতে পারেন না। তখন স্বাভাবিকভাবেই পুলিশ চুরির মামলা না নিয়ে জিডি নেয়। ক্ষেত্রবিশেষে ছিনতাইয়ের পর মামলা রেকর্ড না হওয়ার প্রবণতা আছে। বিশেষ করে মোবাইলের ক্ষেত্রে। তবে পরে তদন্তে যদি এটা জানা যায় যে, মোবাইলটা ছিনতাই হয়েছিল, তখন মামলা হয়।’
এ পর্যন্ত কতগুলো মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা নিয়মিতই অভিযান পরিচালনা করছি, মোবাইল উদ্ধার করছি। থানা পুলিশও উদ্ধার করছে। সংখ্যাটা বলা যাচ্ছে না। এসব ঘটনার সঙ্গে তালিকা করা কিশোর গ্যাং সদস্যদের সংশ্লিষ্টতা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’