নিজেদের সমস্যার স্থানীয় সমাধান তৈরির মাধ্যমে তরুণ উদ্ভাবকদের ক্ষমতায়নে আগামী ৪ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে জাতীয় পর্যায়ের ভার্চুয়াল ইনোভেশন হ্যাকাথন। তিন রাউন্ডে অনুষ্ঠিত হবে এই প্রতিযোগিতা। ধারণা উপস্থাপনের পর ১৮ সেপ্টেমর জমা দিতে হবে উদ্ভাবনার প্রোটোটাইপ। আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে নির্বাচিত করা হবে সেরা উদ্ভাবন।
সিটিও ফোরাম বাংলাদেশের উদ্যোগে এই আয়োজনের সহযোগিতা করছে এটুআই এবং হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ।
প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে নিবন্ধন। প্রতিযোগিতায় “খুদা মুক্ত বিশ্ব, সুস্বাস্থ্য, গুনগত শিক্ষা, ই-কমার্স, এমার্জিং টেকনোলোজি, ভার্চুয়াল এসিস্টেন্স, অনলাইন সার্টিফিকেট ভেরিফিকেশান” এমন ৬টি চ্যালেঞ্জ ও ৩টি সাব চ্যালেঞ্জ মোকাবেল করতে হবে প্রতিযোগীদের।
বৃহস্পতিবার ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে প্রতিযোগিতা বিষয়ের বিস্তারিত তুলে ধরেন আয়োজন কমিটির চেয়ারম্যান সৈয়দ আখতার হোসাইন।
সংবাদ সম্মেলনে অংশ নিয়ে যতদ্রুত সম্ভব ডিজিটাল সার্বোভোমত্ব ও জাতীয়তাবাদ প্রতিষ্ঠায় সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান দ্য এডিটরস গিল্ড, বাংলাদেশের সভাপতি ও একাত্তর টেলিভিশনের প্রধান সম্পাদক মোজাম্মেল বাবু।
বক্তব্যে ডিজিটাল বৈষম্য কমানোর বিষয়েও দৃষ্টিপাত করেন তিনি।
অপরদিকে দৈনিক ভোরের কাগজের প্রধান সম্পাদক শ্যামল দত্ত মনে করেন, প্রযুক্তিমুখিতার সঙ্গে সঙ্গে আমলাতন্ত্র ও দুর্নীতি থেকে বেরিয়ে জনসম্পৃক্ততা বাড়ানো সম্ভব হবে।
বাহরাইনের প্রধানমন্ত্রীর দুবাই সফরের কথা উল্লেখ করে আগামীর রোবট দুনিয়ায় বাংলাদেশ কিভাবে চলবে সে বিষয়ে তরুণদের সম্পৃক্ত করার আহ্বান জানান তিনি।
সিটিও ফোরাম সভাপতি তপনকান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকর্ন কুমার ঘোষ এবং এটুআই সিটিও আরফে এলাহি মানিক।
সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ গোল্ডেন ডিভিডেন্ট যুগে রয়েছে মনে করিয়ে দিয়ে সিটিও ফোরামের সভাপতি তপন কান্তি সরকার বলেন, এই তরুণদের কে সঠিক ভাবে কাজে লাগিয়ে তাদের ইনোভেটিভ আইডিয়াকে সঠিক নার্সিং করা গেলে তবেই বাস্তবায়িত হবে ডিজিটাল বাংলাদেশ।
অনুষ্ঠানে তরুণদের নিজেদের আইডিয়া গুলোকে সামনে নিয়ে আসতে এবং এসকল আইডিয়ার বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে এই ইনোভেশন হ্যাকাথনে অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানান তিনি।