শেখ কামালের অবদানকে দেশের প্রতিটি তরুণের কাছে তুলে ধরার জন্য সারাদেশে ৬৪টি আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার তৈরি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
তিনি বলেছেন, শেখ কামাল যে বয়সে জীবনকে তুচ্ছ করে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন, শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি ও ক্রীড়াঙ্গনকে আধুনিক হিসেবে গড়ে তুলতে ভূমিকা রেখেছিলেন, ঠিক সেই বয়সের ছেলে-মেয়েরাই এসএসসি-এইচএসসি পাস করে ছয় বা ১২ মাসের সার্টিফিকেট বা ডিপ্লোমা কোর্স করে যারযার শহরে আত্মকর্মসংস্থান তৈরি করতে পারেন সে জন্য বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য দৌহিত্র, ডিজিটাল বাংলাদেশের আর্কিটেক্ট সজীব ওয়াজেদ জয় ভাইয়ের নির্দেশনায় আমরা প্রত্যেকটি জেলায় একটি করে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন করছি। যেখানে শেখ কামালের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে আমরা একটি মুক্তিযুদ্ধ ও শেখ কামাল কর্নার করবো। এই ডিজিটাল কর্ণারে শেখ কামালের বর্ণাঢ্য ও কর্মময় জীবন তুলে ধরবো।
২০৪১ সাল নাগাদ এই ৬৪টি শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার থেকে ১০ লাখের অধিক তরুণ-তরুণীকে প্রশিক্ষণ দিয়ে ৫ লাখের বেশি তরুণের আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা হবে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭২তম জন্মদিন উপলক্ষে সিংড়া উপজেলা ছাত্রলীগের আয়োজনে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
বক্তব্যে শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি ও ক্রীড়াঙ্গনে শেখ কামালের অবদান তুলে ধরেন তিনি। একইসঙ্গে সিংড়ায় শেখ কামাল স্মৃতি ফুটবল ফুটবল একাডেমি প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন।
সিংড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি খালিদ হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সিংড়া আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট ওহিদুর রহমান শেখ, পৌর মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌস, উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি শরীফুল ইসলাম শরীফ।
উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক মুকলে সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন সরকারি অনার্স কলেজের ভিপি সজীব হোসেন জুয়েল, জিএস বেলায়েত হোসেন, কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন সাব্বির, সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন প্রমুখ।