টেলিকমের পর তথ্যপ্রযুক্তি সেবাও অন্তর্ভূক্ত হলো জরুরী সেবার। ফলে এখন থেকে লকডাউনেও কম্পিউটার হার্ডওয়্যার ও প্রযুক্তি সল্যুশন দেয়ার বাধা কাটলো। তবে এটা হবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে এই সেবার অনুমতি দেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়।
আদেশে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী চলমান লকডাউনে কম্পিউটার হার্ডওয়্যার পণ্য সরবরাহ এবং সবো দিতে প্রাতিষ্ঠানিক পরিচয়পত্র দেখিয়ে চলাচল করতে পারবে। তবে দোকান খোলা রাখার কোনো অনুমতি দেয়া হয়নি। একই সঙ্গে মোবাইল সেবা বিষয়েও কোনো নির্দেশনা দেয়া হয়নি এই চিঠিতে।
শুধু বলা হয়েছে, ‘মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের গত ১৩ জুলাইয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জরুরী/অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিসের কর্মচারী ও যানবাহন প্রাতিষ্ঠানিক পরিচয়পত্র প্রদর্শন সাপেক্ষে যাতায়াত করতে পারবে মর্মে নির্দেশন দেয়া হলো।’
সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে ‘প্রশাসনকে সঠিক কাজটি করার জন্য’ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন ডাক ও টেলিযোগযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
দীর্ঘ দিনের এই যৌক্তিক দাবি পূরণে সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সভাপতি শাহিদ উল মুনীর। তিনি বলেছেন, মার্কেট খোলা না থাকলেও আমাদের দোকান থেকে পণ্য সংগ্রহ করে তা ক্রেতার কাছে পৌঁছে দেয়ার সুযোগ পেয়ে আমরা কৃতজ্ঞ।
এছাড়াও তথ্যপ্রযুক্তি খাত কে “জরুরি সেবা” খাতের আওতায় আনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহ সরকার সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবির।