সরকারি কাজে স্বচ্ছতা, দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি, সুশাসন সংহতকরণ, প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা উন্নয়নে দেশের ৪৩টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মধ্যে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি বাস্তবায়নে ২০১৯-২০ অর্থ বছরে প্রথম হয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ।
রবিবার ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে এই স্বীকৃতির ঘোষণা দেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। নাম ঘোষণার পর এই অর্জন বিষয়ে বক্তব্য দেন আইসিটি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এন এম জিয়াউল আলম।
বক্তব্যে এই অর্জনের পেছনে আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় ও প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে আইসিটি বিভাগের নানা অর্জনের কথা তুলে ধরেন তিনি।
জিয়াউল আলম বলেন, প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকেই আইসিটি বিভাগ কানেক্টিভিটি স্থাপন, মানবসম্পদ উন্নয়ন, ইলেকট্রনিক্স গভর্নেন্স প্রতিষ্ঠা এবং আইসিটি শিল্পের বিকাশ- এই ৪টি কর্মকৌশলকে কেন্দ্র করে নিরলস ভাবে বিভিন্ন কর্ম পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করে আসছে। সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়নে আইসিটি সদস্যরা নিরলস কাজ করছে।
তিনি জানান, এর মধ্যে ২০১৯-২০ অর্থবছরে আইসিটি বিভাগ বিশ্বের সপ্তম বৃহত্তম টিআর-৪ ডাটা সেন্টারের কার্যক্রম চালু করা, মহেশখালী দ্বীপকে ডিজিটাল দ্বীপে রূপান্তরে ৫০ মিটার উচ্চতার টাওয়ার নির্মাণ, সদ্য বিলুপ্ত সিটমহলে ৮টি শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন, দেশের বিভিন্ন স্থানে ৩৯টি হাইটেক পার্ক এবং শেখ কামাল ইনকিবেশন সেন্টার বাস্তবায়নে সার্বিক তত্ত্বাবধান, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ৬টি বিশেষায়িত ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে।
এছাড়াও নারী ও প্রতিবন্ধীসহ ৪০ হাজার জনকে লার্নিং আর্নিং বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। এরা আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে ৫১ লাখ মার্কিন ডলারের বেশি বৈদেশিক মুদ্রা আয় করেছে বলেও উল্লেখ করেন আইসিটি সিনিয়র সচিব।
করোনায় আইসিটি বিভাগের উদ্যোগের কথা তুলে ধরে নিয়াজ মোহাম্মাদ জিয়াউল আলম বলেন, মহামারির শুরু থেকেই আইসিটি বিভাগ ৫টি বিজনেস কনটিনিউটি প্লান প্রস্তুত করে গুরুত্বপূর্ণ সেবা অব্যাহত রাখার উদ্যোগ নিয়েছে। আমাদের ডিজিটাল রেডিনেসের জন্য আমরা এসময় অনলাইনে সংযুক্ত থেকে সরকারের সকল কার্যক্রম চালু রাখতে সক্ষম হয়েছি। ডিজিটাল কনফারেন্সিং সিস্টেম, ইলেকট্রনিক্স নথি, টেলিমেডিসিন, ভার্চুয়াল কোর্ট, ৩৩৩ কল সেন্টার প্লাটফর্ম ব্যবহার করে গুরুত্বপূর্ণ সেবা দেয়া হয়েছে।
গণভবন থেকে অনুষ্ঠানে সরাসরি সংযুক্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অপরদিকে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত মূল অনুষ্ঠানে জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক উপস্থিত ছিলেন।