তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, বিশ্বের সকল আইটি বিশেষজ্ঞরা ডেটাকে বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ হিসেবে অভিহিত করেন। কেননা ডেটা কেবল তথ্যই নয়, এটি আগামী দিনে তেলের চেয়েও বেশি মূল্যবান হবে। কারণ, যার কাছে ডেটা সেই পাওয়ারফুল। শুধুমাত্র ডেটা সম্পদের বলেই গুগল , ফেসবুক, অ্যাপল এবং আমাজন মিলে পৃথিবীর প্রায় ৫ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণ করে।
বৃহস্পতিবার যশোরে বিজিবি রিজিয়ন সদর দপ্তরে “ডাটা ডিজিস্টার রিকভারি সাইট” এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
এসময় বডারগার্ড বাংলাদেশের মহা পরিচালক মেজর জেনারেল মোঃ সাফিনুল ইসলাম ছাড়াও আঞ্চলিক কমান্ডার ও বেসামরিক কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন ব্যাংকের ব্যবস্থাপকরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন,আমরা চাই, বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষের ব্যাংকিং, স্বাস্থ্য,শিক্ষা, কৃষি বিষয়ক তথ্য যেনো বিদেশীদের হাতে না যায়। আমরা যেন ডেটা সংরক্ষণ ও বিশ্লেষণ সুবিধাটা দেশের কাজে লাগাতে পারি। আমাদের সম্পদ যেনো কোনো বিদেশীর কাছে চলে না যায়। এজন্য আমরা গভর্নমেন্টের টিআর ফোর ডেটা সেন্টার করেছি তেমনি ব্যাংক, স্বাস্থ্য, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ডেটা সেন্টার তৈরির অনুরোধ করছি। যদি কোনো কারণে একটি সিসমিক জোন প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে যদি নষ্ট হয়, আর সেখান থেকে যদি সেবা দেয়া বাধাগ্রস্ত হয় তখন সাথে সাথে যেন এই ডিজাস্টার রিকভারি সাইট থেকে সেবা চলমান রাখা যায় সেজন্যই এই সাইটের প্রয়োজনীয়তা।
তিনি আরো বলেন, দেশের তথ্য দেশেই সংরক্ষণের জন্য আমরা বাংলাদেশে একটি ন্যাশনাল ডেটা প্রাইভেসি প্রোটেকশন অ্যান্ড লোকালাইজেশন আইন করতে যাচ্ছি। এই আইন হলে বাংলাদেশের কোনো ব্যাংক বা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান দেশের নাগরিকের তথ্য বিদেশে পাঠাতে পারবে না। তখন এই ধরনের ডেটা সেন্টারের প্রয়োজনীয়তা আরো বাড়বে।