দুই চাকার সাইকেল চালানোর সময় থামলেই পড়ে যেতে হবে। জীবনটা বাইসাইকেলের মতোই, এখানে থামা মানা। আপনাকে জীবনের ব্যালেন্সটা ঠিক রাখতে হলে সবসময় সচল থাকতে হবে। জীবনের প্রথম অভিজ্ঞতা অর্জনের মধ্যে একটা আনন্দ-উত্তেজনা থাকে। শিক্ষাগত যোগ্যতা, অর্থবিত্ত থাকলেও জীবনমুখী শিক্ষা যদি না থাকে অনেক বিপদের সম্মুখীন হতে হয়।
শনিবার রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধি হিসেবে সিরাজগঞ্জ জেলার খাজা ইউনুস আলী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এসময় এই বিশ্ববিদ্যালয়ে এআই, রোবটিক্স, মাইক্রোচিপ ও সাইবার সিকিউরিটি বিষয় চালুর জন্য সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন প্রতিমন্ত্রী।
পলক বলেন, এজন্য ৫ কোটি বা ১০ কোটি অথবা ১৫ কোটি যতই খরচ হবে এবং যত প্রযুক্তি প্রয়োজন হবে, সার্বিক বিষয় ব্যবস্থাপনা করবো। পাশাপাশি অল্প শব্দের ড্রোন তৈরির জন্য আরও ১০ লক্ষ টাকা প্রদানের ঘোষণা দেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় ভাই আমাদের ৪টি বিশেষ প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করার জন্য গুরুত্বারোপ করেছেন; সেগুলো হলো- প্রথমত, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, যা ক্রমশই একটা ফাউন্ডেশনাল প্রযুক্তিতে পরিণত হচ্ছে; দ্বিতীয়ত, রোবটিক্স, রোবটিক্স এর মত অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এখন আর কোন বিলাসী পণ্য নয়, আমাদের কৃষি থেকে শুরু করে সর্বত্রই রোবটিক্সের প্রয়োজনীয়তা আছে; তৃতীয়ত, মাইক্রোচিপ, সকল ডিজিটাল প্রযুক্তিতেই মাইক্রো ও ন্যানোচিপ ব্যবহৃত হয়; চতুর্থত, সাইবার সিকিউরিটি, প্রযুক্তি সমৃদ্ধ আমাদের ডিজিটাল জীবনকে নিরাপদ রাখতে অত্যাবশ্যক।
সমাবর্তনের সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ও প্রফেসর ড. মেসবাহউদ্দিন আহমেদ। অন্যান্যদের মধ্যে আরোও উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দ, খাজা ইউনুস আলী বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ারম্যান ও বোর্ড অব ট্রাস্টিজের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ, ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. হোসেন রেজাসহ আরও অনেকে।